জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য দেয়া সব ধরনের অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
উনারা (দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি) নামের এই সংস্থার কার্যক্রমকে ‘অবিশ্বাস্যরকম ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে এ সহায়তা বন্ধের কথা জানিয়েছে। খবর: বিবিসি, আলজাজিরা।
সংস্থাটি ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া ও জর্ডানে কয়েক লাখ মানুষকে জরুরি সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা ও ও শিক্ষা দিয়ে আসছে। জাতিসংঘের এই সংস্থার ৩০ ভাগ ব্যয় বহন করত যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে ইস্যুটি পুনর্বিবেচনা করছে এবং উনারাতে কোনো ধরনের অবদান রাখতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ এই বোঝা আর যুক্তরাষ্ট্র বহন করতে চায় না।’
হেদার নোয়ার্ট আরো বলেন, ‘গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই সংস্থার তহবিলে ২৬৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। চলতি বছর জানুয়ারিতে ৬০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে আর কোনো তহবিল দেয়া হবে না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের পর থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের অবনতি হয়।
তহবিল বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত তার জনগণকে ‘চরম অপমান’ করার শামিল।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুডিনা রয়টার্সকে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বাতিল হলো শাস্তি। এতে পরিস্থিতির কোনো সফল পরিবর্তন আনবে না, সমস্যার কোনো সমাধানও হবে না।’
তিনি এই সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের পর উনারা’র মুখপাত্র ক্রিস গুনেস সিরিজ টুইট করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
সংস্থার কার্যক্রম ‘অবিশ্বাস্যরকম ত্রুটিপূর্ণ’— যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, ‘আমরা উনারা’র স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং জরুরি সহায়তা কার্যক্রম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’