ফ্রান্স তার কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ইরানে অপ্রয়োজনীয় সফর স্থগিত করতে বলেছে। একটি ব্যর্থ বোমা হামলার চেষ্টা ও ফ্রান্সের প্রতি তেহরানের কঠোর মনোভাবের কথা উল্লেখ করে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর কারণ হিসাবে ফ্রান্স একটি মেমোতে বলেছে, তারা রাজধানী প্যারিসের কাছে ইরানের নির্বাসিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমাবেশে বোমা হামলা প্রচেষ্টা নস্যাৎ করেছে এবং ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইরান কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলেই মনে করছে।
ফ্রান্স সরকার ওই বোমা হামলা পরিকল্পনায় প্রকাশ্যে ইরানের জড়িত থাকার কথা না বললেও একে দেশটির আগ্রাসী হয়ে ওঠার লক্ষণ হিসেবেই দেখছে। সমাবেশটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানি উপস্থিত ছিলেন।
২০ আগস্টের এক নোটিশে ফ্রান্স ও এর মিত্রদেশের প্রতি ইরানের ওই ধরনের বিরূপ আচরণের কথা উল্লেখ করে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে... সব বিভাগের কর্মকর্তাদের, তারা সদর দফতরের কর্মকর্তাই হোন আর যে পদেরই হোন, কেবল জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত ইরানে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।
তবে মেমোটির ব্যাপারে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তা ছাড়া রাষ্ট্রদূতদের পরিবার-পরিজনদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও মন্ত্রণালয় কিছু বলেনি। প্যারিসে দূতাবাসের ইরানি কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, দেশের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টায় থাকা শত্রুদের বিরুদ্ধে ইরানকে সতর্ক থাকতে হবে।
ইরান ভেঙে যাওয়া পরমাণু চুক্তিতে ইউরোপীয়দের সমর্থন আদায়ের জোর চেষ্টা চালানোর সময় ফ্রান্স এ কড়াকড়ির পদক্ষেপ নিল।
যুক্তরাষ্ট্র গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছে। ফ্রান্স বরাবরই এ চুক্তির পক্ষে জোরাল সমর্থন দিয়ে এসেছে। ফলে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক কঠিন হলে তা ইরানের জন্য জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।