পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ক্ষমতাসীন হয়েই একের পর এক বিস্ময়কর কর্ম করছেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমন কিছু কর্মে হাত দিয়েছেন, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কেন, উন্নত দেশগুলোতেও বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। এতে তিনি বিশ্বজুড়ে নন্দিত ও প্রশংসিত হচ্ছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা তথা ‘নয়া পাকিস্তান’ প্রতিষ্ঠার এই সূচনালগ্নে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ব্যয় সংকোচন নীতি ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত বিশাল বিলাসবহুল বাসভবনে না থেকে সেটিকে গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বাস করবেন মাত্র ৩ কামরা বিশিষ্ট সামরিক সচিবের জন্য নির্ধারিত বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর ৫২৪ জন কর্মচারীর পরিবর্তে মাত্র ২ জন কর্মচারী রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত ৮০টি বিলাসবহুল গাড়ি, ৩৩টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং হেলিকপ্টার ও বিমানের পরিবর্তে মাত্র ২টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করবেন। অবশিষ্টগুলো নিলামে বিক্রি করে তার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করবেন। গত ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, সিনেটের চেয়ারম্যান, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রী, এমপিসহ সরকারের অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিমানের বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করবেন। প্রথম শ্রেণিতে তাদের ভ্রমণ বাতিল। এছাড়া নওয়াজ সরকারের আমলের রাজধানী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ও বাতিল করা হবে। নওয়াজ সরকারের মেট্রোরেল প্রজেক্টের দুর্নীতির তদন্ত করা হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বিশেষ তহবিলও বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এ তহবিল থেকেই নওয়াজ শরিফ ৫১ বিলিয়ন রুপি ও প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন ৯০ মিলিয়ন রুপি খরচ করেছেন। এক ভাষণে ইমরান খান বলেছেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বৈদেশিক ঋণ, রফতানি, রেমিটেন্স বৃদ্ধি, বিচার ও নিরাপত্তা বিভাগ প্রভৃতির সংস্কার করা হবে। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ ও ধনীদের নিয়ম মেনে কর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ব্যক্তি পর্যায়ে কর ফাঁকির জন্য পাকিস্তান বিখ্যাত, মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম লোক নিয়মিত আয়কর দেয়। কিন্তু কর দেয়া দায়িত্ব। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইমরান বলেছেন, এখন থেকে সবাইকে ১৪ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। তিনি নিজে ১৬ ঘণ্টা কাজ করবেন। আর ব্যয় কমানোর নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শুধু চা পান করান। ইতোমধ্যে সরকার দেশের সরকারি সংবাদ মাধ্যম পাকিস্তান টিভি এবং রেডিও পাকিস্তানকে পুরোপুরি সম্পাদকীয় স্বাধীনতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হোসেন চৌধুরী টুইটারে জানিয়েছেন, তার মন্ত্রণালয় আগামী তিন মাসে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে এখন থেকে আর সরকারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে দেখা হবে না। পাকিস্তানের ইতিবাচক ছবি তুলে ধরবে তারা।
ইমরান খান পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন গত ১৮ আগস্ট। শপথ অনুষ্ঠানে তার লন্ডন প্রবাসী দুই পুত্র উপস্থিত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ইমরানের প্রথম স্ত্রী জেমিমা জানিয়েছেন, তার সন্তানদের পিতা তার শপথ অনুষ্ঠানে সন্তানদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেননি। যে কোন পিতার কাছে তার সন্তান সর্বাধিক প্রিয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সন্তান বাৎসল্যকে গুরুত্ব দেননি ইমরান খান। তিনি তার ঐতিহাসিক শপথ অনুষ্ঠানে সন্তানদের উপস্থিত থাকার আকাক্সক্ষা পূরণ করেননি। সম্ভবত ক্ষমতার লোভ-লালসা থেকে সন্তানদের দূরে রাখার লক্ষ্যেই তিনি এটি করেছেন। সন্তানের চেয়ে দেশের প্রতি অধিক ভালোবাসা না থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। স্মরণীয় যে, অক্সফোর্ডে পড়ুয়া ও ক্রিকেট বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার ইমরান সারা জীবন পশ্চিমা সভ্যতায় জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। একদা তিনি প্লেবয় বলেও খ্যাত ছিলেন। তার অতি মোহনীয় চেহারায় অসংখ্য নারী আসক্ত হয়েছিলেন। সেই ইমরান সম্পূর্ণ ইউ টার্ন করে পরম খোদাভিরু হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি মহানবী স. এর প্রবর্তিত মদিনার রাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সহসাই তিনি সস্ত্রীক ওমরাহ হজ্ব পালন ও মদিনায় যাবেন বলে জানা গেছে।
ক্রিকেটের মহানায়ক ইমরান ক্রিকেট পাগল পাকিস্তানিদের উজ্জীবিত করার জন্য পাক ক্রিকেটকে ঢেলে সাজিয়ে পুনরায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে সহায়তা করছেন ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী সতীর্থরা। অপরদিকে, প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়েও ব্যাপক রদ-বদল করেছেন। পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করে বলেছেন, এখন থেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির মূল স্তম্ভ হবে, পাকিস্তান ফাস্ট। দ্বিতীয়ত, পার্শ্ববর্তী সব দেশের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। চীনের সাথে সৃষ্ট ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব আরও গভীর করা হবে। সে লক্ষ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সিপিইসি প্রকল্প চালু রাখা হবে। ইরানের উপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ থাকা সাত্তে¡ও ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এ ব্যাপারে ২৫ আগস্ট ইরান বেতারে প্রকাশ, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক বৈঠকে বলেছেন, পাকিস্তানের জন্য ইরানের গ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের প্রধান প্রকল্পগুলোর একটি হচ্ছে ইরান থেকে পাকিস্তানে গ্যাস আমদানির পাইপ লাইন নির্মাণ। ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই পাইপ লাইনটি শান্তির পাইপ লাইন হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কিছু দেশের হস্তক্ষেপে ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। ইরান চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি পয়েন্ট পর্যন্ত পাইপ লাইন বসিয়েছে। পাকিস্তান অনেক দিন ধরেই গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করছে। সারাদেশে লোড শেডিং রয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইরানের গ্যাস আমদানি করতে পারলে পাকিস্তানের জ্বালানি সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। তিনি আরও বলেছেন, তার দেশ মার্কিন নীতি মেনে চলতে বাধ্য নয় এবং ওয়াশিংটনের উচিত ইসলামবাদকে বন্ধু মনে করা- ভৃত্য নয়। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আফগানিস্তান থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে পাকিস্তানের সহযোগিতার মুখাপেক্ষী আমেরিকা। এ অবস্থায় পাকিস্তানকে নিজের ভৃত্য মনে করলে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সহযোগিতা পাবে না। আফগানিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের প্রায় আট হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হলেও আমেরিকা ইসলামাবাদকে মাত্র দুই হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টেলিফোন করে ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পর পাক প্রধানমন্ত্রী এ বক্তব্য দেন। টেলিফোনালাপে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন পম্পেও। মার্কিন সরকার সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে ইসলামাবাদের প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যেও কাজ করছে ওয়াশিংটন। এর আগে ২১ আগস্ট সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টে ইমরান বলেন, অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। এটাই হবে দারিদ্র্য কমানোর উত্তম উপায়। এর মাধ্যমেই এই উপমহাদেশের মানুষকে উপরে তুলে আনা যাবে। সামনে এগিয়ে যেতে হলে অবশ্যই পাকিস্তান ও ভারতকে আলোচনায় বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরসহ সব সংঘাতময় বিষয়ের সমাধান করতে হবে। প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেছেন, আমার শপথ গ্রহণের দিন পাকিস্তান আসার জন্য আমি নভোজোত সিধুকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি ছিলেন শান্তির একজন দূত। সিধুকে ভারতে যারা টার্গেট করছেন তারা এই উপমহাদেশে শান্তির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ইমরান খান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডার সরকার। রাশিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশ পাকিস্তানের সাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান সম্পর্কে অনেক বিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষকদের অভিমত হচ্ছে, ইমরান এমন সময় সরকার গঠন করেছেন, যখন পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। দেশটির বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। দুর্নীতি আকাশ ছোঁয়া। এসব সংকট কাটিয়ে তিনি একটি ‘নতুন পাকিস্তান’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের ডেইলি নিউজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মনির আহমেদের অভিমত হচ্ছে, পাকিস্তানের এখনকার সব সংকট সমাধান হয়তো সহজ হবে না। তবে সেটা একেবারে অসম্ভবও হবে না। কারণ ইমরানের নিজস্ব কিছু কারিশমা রয়েছে। তিনি ক্রিকেটার হিসেবে সফল ছিলেন। যখন ক্যান্সার হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিলেন, সবাই বলেছিল হাসপাতাল সম্ভব না। কিন্তু সেটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাজনীতিতে আসার পর তাকে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে, তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি যে এভাবে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করবেন, সেটাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু তিনি এতদূর পর্যন্ত এসেছেন।
অনেকেই মনে করেন, ইমরান খান যদি তার বর্তমান নীতি অব্যাহত রাখেন, দুর্নীতি দমন, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণ বন্ধ, ভূমি সংস্কার, নারীর শিক্ষা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা বন্ধ, সরকারি কর্মকান্ডে সুশীল ও বিরোধীদের শামিল করে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি, সকলের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক, কর আদায়ে কঠোরতা, ভারতের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে ২/৩ বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের আর্থিক ও সামাজিক খাতে আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে, তা নিশ্চিত। ইতোমধ্যেই ইরান সীমান্তের কাছে বিশাল তেলের মজুদ আবিষ্কার হয়েছে, যা কুয়েতের মোট মজুদের চেয়েও বেশি। আমেরিকার ‘এক্সন মোবিল’ কোম্পানি এই তেলের মজুদ খুঁজে পেয়েছে। উত্তোলন উপযোগী এই তেলের খনি পাকিস্তানকে তেলের মজুদের দিক দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ দেশে পরিণত করবে। এই তেল পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এক যুগান্তকারী ঘটনা হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। কারণ, বর্তমানে দেশটির মোট তেলের চাহিদার ১৫% অভ্যন্তরীণভাবে উৎপন্ন হয়। বাকি ৮৫% আমদানি করতে হয়। তাই নতুন আবিষ্কৃত তেল সদ্ব্যবহার করতে পারলে পাকিস্তানের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে স্ফীত হয়ে উঠবে। কাকতালীয়ভাবে হলেও সত্য যে, এই তেল আবিষ্কার আর ইমরান খানের রাজনৈতিক বিজয় প্রায় একই সময়ে সংঘটিত হয়েছে। তাই অনেকের অভিমত, এটা ইমরানের সৌভাগ্যেই ঘটেছে। যা’হোক, পাকিস্তানকে দ্রæত ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে চীন। এটা পেলে দেশটির রিজার্ভ বেড়ে দুই মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান হবে। পাকিস্তানের গণতন্ত্র বিকশিত ও আর্থিক শক্তি বৃদ্ধি পেলে ১৫০টি পরমাণু বোমার অধিকারী এই দেশটির আলোক বর্তিকা ছড়িয়ে পড়বে বর্তমানে চরম দুর্দশাগ্রস্ত মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এবং তাতে করে তারা উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। আর ইমরান খান খ্যাত হবেন মুসলিম হিরো হিসেবে। বর্তমানে আরও দু’জন মুসলিম নেতা মুসলিম স¤প্রদায়ের নয়নমনি হয়ে উঠেছেন। তারা হচ্ছেন, মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। মাহাথির স্বীয় দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করছেন এবং দুর্দশাগ্রস্ত মুসলিমদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তদ্রæপ এরদোয়ানও শক্তিশালী ইসলামী তুরস্ক গঠনে কাজ করছেন, বিশ্ব মুসলিমের বিপদাপদে পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নানা হুমকি-ধামকি/অবরোধ মোকাবেলা করছেন অসীম সাহসিকতার সাথে। এতে শুধু তুর্কীরাই অনুপ্রাণিত হচ্ছে না, সেই সাথে চরম অবহেলিত, নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত মুসলিমরাও মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার প্রেরণা পাচ্ছেন। ইমরানও পাকিস্তানে কেবল নয়, গোটা ইসলামী বিশ্বেই আস্থা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।