পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে এক লাখ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিমিয় শেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বড় পুকুরিয়ার কয়লা খনির থেকে
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে আনুমানিক ২২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবীব উদ্দিন আহমদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে। সবশেষ কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হবে আগস্ট মাসের শেষে। এ সময়ের মধ্যে পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার মজুদ রয়েছে বলে ইতিপূর্বে কয়েক দফা পিডিবিকে নিশ্চিত করে খনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ তিন-চারদিন আগে পিডিবিকে জানিয়ে দেয় খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুদ প্রায় শেষ পর্যায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আর বেশিদিন কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লা সরবরাহ কমিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন মাত্র ৮শ’ থেকে ১ হাজার টন কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে। তা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে এবং উৎপাদন কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০ মেগাওয়াটে। কয়লার অভাবে চার-পাঁচদিনের মধ্যে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। খনি কর্তৃপক্ষের হিসাবে কোল ইয়ার্ডে কয়লা থাকার কথা প্রায় দেড় লাখ টন। কিন্তু বাস্তবে শুক্রবার পর্যন্ত ছিল মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন কয়লা। এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার কোনো হদিস নেই।
দিনাজপুরের কয়লা খনি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খনিতে যেকোনও সমস্যা হতে পারে। আপদকালীন মজুত হিসেবে এই কয়লা আনা হচ্ছে। কোন দেশ থেকে কয়লা আনা হচ্ছে তা এখনও ঠিক হয়নি। টেন্ডার দিয়েছি। পরে জানা যাবে কোন দেশ থেকে আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। তবে পুরোপুরি চালু হতে অক্টোবর লেগে যাবে। এনএলজি আমদানির ফলে বিদ্যুতে সরকার ভর্তুকি বাড়াবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনএলজি আমদানির ফলে বিদ্যুতে ভর্তুকি বাড়বে না এবং বিদ্যুতের দামও সহনীয় থাকবে। বিদ্যুতের দাম কামানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বার্ক)-এর ওপর নির্ভর করে। আমরা আমাদের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। জনগণের ওপর যেন কোনও চাপ না পড়ে সেদিকে নজর রেখেই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব। কাজেই জনগণের চাপ হয় এমন সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে যে কয়লা চুরি হয়েছে তা ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এটি দুই এক দিনে ঘটেনি। যে পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে তা বহন করে নিতেও ৩০ হাজার ট্রাক লেগেছে। ভাগ্য ভালো যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় এটি ধরা পড়েছে। শেখ হাসিনা সরকার যে কোনও দুর্নীতি বরদাশত করে না এটি তার প্রমাণ। তেল-গ্যাস-রক্ষাকারী আন্দোলনকারীদের এক অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে না গেলে চুরির বিষয়টি আমরা জানতাম না।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।