মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বই কেনার জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ না থাকায় লাইব্রেরিতে নেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই! চলতি বছরের মার্চ মাসে রাজ্যের সমস্ত লাইব্রেরিতে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল হাওড়া জেলা পাবলিক লাইব্রেরি উন্নয়ন মঞ্চ। ওই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন।
গতকাল কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এই খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, হাওড়া জেলা থেকে এই প্রস্তাব আসায় প্রথমে সেখানকার গ্রন্থাগারগুলোতেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। তা করতে গিয়ে প্রথমেই ধাক্কা খেয়েছে হাওড়া। হাওড়া জেলা গ্রন্থাগারিক অমিত কুমার পাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, স¤প্রতি স্কুলের পাঠ্যবই কেনার জন্য রাজ্য গ্রন্থাগার দফতর থেকে ৯ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বই কেনার জন্য কোনও অর্থ আসেনি।
উন্নয়ন মঞ্চের সম্পাদক নিশীথ সরকার বলেন, অর্থের অভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বই কেনা যাচ্ছে না! দফতর যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বই গ্রন্থাগারে রাখার জন্য টাকা পাওয়া গেল না, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের। তবে এতে দমে যেতে রাজি নয় উন্নয়ন মঞ্চ। সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে সাধারণ লোকদের কাছ থেকে ‘অনুদান’ সংগ্রহ করতে শুরু করেছে তারা।
গ্রন্থাগার দফতর অর্থ না দিলেও অনুদান নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর বই দেব। কারণ তার জীবন সংগ্রাম থেকে কন্যাশ্রীর সফলতা- সব কিছু সবার জানা দরকার। আর সেই অনুদানেই আগামী ৩০ আগস্ট সাধারণ গ্রন্থাগার দিবসে হাওড়ার ১০টি গ্রন্থাগারে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই দেবে উন্নয়ন মঞ্চ।
মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে থেকেই লেখালেখি করেন। লিখেছেন পাহাড়, জঙ্গলমহল এবং নিজের জীবনের নানা সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে। ‘নামাঞ্জলি’, ‘কথাঞ্জলি’, ‘অনুভূতি’, ‘বাংলার কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী’, ‘বিকেলটা হারিয়ে গেছে’, ‘জীবন-সংগ্রাম’, ‘আজব ছড়া’র মতো বেশ কিছু বইও রয়েছে তার।
এদিকে গ্রন্থাগারে মমতার বই রাখার এমন উদ্যোগের বিরোধীতা করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অর্থ থাকলেও গ্রন্থাগারে মুখ্যমন্ত্রীর বই রাখা উচিত নয়। আর যে অনুদানে বই দেয়া হবে, তার উৎস কী সেটা জানাও দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।