গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৩ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন বর্জ্য আপসারনের দাবি করেছেন। ৬ হাজার ২২০টি ট্রিপের মাধ্যমে এ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন একই সময়ের মধ্যে ১১ হাজার টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পরিবহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। যদিও এ নিয়ে সঠিক কোন হিসাব দিতে পারেননি ডিএনসিসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেউ। দুই কর্পোরেশন থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের। ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। শুধু উদ্বোধন করেই খ্যান্ত ছিলেন না সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনিয়ে সদায় তৎপর ছিলেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ও উত্তরের প্যানেলভুক্ত মেয়র জামাল মোস্তফা। যার ফলে এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পুরো মহানগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেলভুক্ত মেয়র জামাল মোস্তফা গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এক হাজার ৫৪৫টি ট্রিপে আট হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পরিবহন করেছিলাম। এর পর গত শুক্রবার পর্যন্ত আরও আড়াই হাজার টন বর্জ্য আপসারণ করেছি। তিনি বলেন, এই স্বল্পসময়ে ডিএসসিসি এলাকা থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব দুই হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ মোট সাড়ে নয় হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে আবর্জনামুক্ত করেছেন। এর পরও যদি কোথায়ও পড়ে থাকার খবর আমরা জানতে পারি তাহলে সাথে সাথে তা অপসারণ করা হবে।
দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ২১ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ঈদের দিন থেকে শুরু করে ঈদের তৃতীয় দিন শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করতে কাজ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারিত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। এরমধ্যে ডিএসসিসির ১৫টি পশুর হাটের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এবারের ঈদে ডিএসসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ছয় হাজার ২২০টি ট্রিপের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির বর্জ্য অপসারণে হট লাইন চালু করা হয়েছিল। সেই হট লাইন নম্বরে ৫ হাজার ৫৪৬টি কল আসে। আর ডিএসসিসির পক্ষ থেকে চার হাজার ৪৩৮টি কল করা হয়। এসব কলের মধ্যে থেকে ১০৫টি কল আসে পরিচ্ছন্নতার অনুরোধ জানিয়ে। তাতে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে ৯৯ সার্ভিস কলে সাড়া দেওয়া হয়। দু’টি কলে অনুপস্থিত ছিল। তবে চারটি কলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসির অতিরিক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম জানান, আমাদের কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারিত হয়েছে। তবে পরিচ্ছন্নতার নিয়মিত কাজ যেটা সেটা অব্যহত থাকবে। এরপরেও কোথাও বর্জ্য থাকলে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিষ্কার করে দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।