পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভরাডুবির পর মহানগর বিএনপির থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সাংগঠনিক সব কমিটি বাতিল করা হচ্ছে। লন্ডন থেকে কড়া নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহানগর বিএনপিও চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। তবে দলের নেতারা বলছেন, দল গোছানোর অংশ হিসাবে ১৫টি থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হচ্ছে। খুব শিগগির সম্মেলন করে ওয়ার্ড, থানা এবং মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন তিন লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। নগরীর সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলে ৫৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ভোট হয়েছে ৫৪টিতে। বিএনপির কোন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে জয় পাননি। চসিকের নির্বাচিত পরিষদে ২৭ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম বিএনপির কোন প্রতিনিধি নেই। গত ৩০ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘কেন লজ্জাজনক হার’ শিরোনামে রির্পোট প্রকাশিত হলে বিএনপির সর্বস্তরে তোলপাড় শুরু হয়। দলের নীতি নির্ধারকরাও নিজেদের শক্তপোক্ত ঘাঁটিতে এমন হারে হতবাক হন।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে বেলা ১১টায় অনিয়ম, কারচুরি অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এরপরও বিএনপির মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোট পান। নয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয়ী হন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটে এ ভরাডুবির কারণে দলের হাইকমান্ডে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সব সদস্যকে ঢাকায় তলব করা হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাদের সাথে অনলাইনে যুক্ত হন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৩৯ সদস্যের কমিটির ৩৮ জন বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন নেতা জানান, সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হারের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সরকারি দলের সমর্থকদের কেন্দ্র দখল, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার পাশাপাশি দলের নেতাদের ভ‚মিকাও আলোচনায় আসে। বিশেষ করে ভোটের মাঠে সরকারি দলকে মোকাবেলায় শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান না থাকার বিষয়টিও আলোচনা হয়। সাংগঠনিক কমিটি গঠনের সময় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন না করায় তৃণমূলে দলের এমন বেহাল অবস্থা বলে জানান কয়েকজন নেতা। আহ্বায়ক কমিটির দুই সদস্য এজন্য সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এ পরিস্থিতিতে দল গোছাতে সকল পর্যায়ের কমিটি বাতিল করে দিতে বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সন্ধা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বৈঠক স্থায়ী হয়।
এ বিষয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঘর গোছানোর অংশ হিসাবে মহানগর বিএনপির থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সব কমিটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। সিটি নির্বাচনের আগে মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, ওয়ার্ড ও থানায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন শেষে মহানগর বিএনপি সম্মেলন ও কাউন্সিল হবে। চসিক নির্বাচন বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, নির্বাচনের নামে প্রসহন হয়েছে। সরকারি দল তাদের দলীয় ক্যাডার, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় নগরবাসীর ভোট কেড়ে নিয়েছে। আমরা মানুষের ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামবো। চট্টগ্রাম থেকেই ভোটচুরির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।