পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ ঈদ উদযাপনে গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় অনেকটা জনশূন্য ঢাকা। এর প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। প্রায় অর্ধেকে নেমেছে কাঁচামরিচের দাম। তবে কোরবানির ঈদের পরও দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেনি। বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ কম। ফলে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশসহ ছোট-বড় অন্যান্য মাছ। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর মিরপুর ১ নম্বর কাঁচাবাজারে কমেছে সবজির দাম। কিছু সবজির দাম কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০, পটল ৪০, শসা ৪০, পেঁপে ১৫, মিষ্টি কুমড়া ২০, বরবটি ৪০ ও করলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বাজারে সবজি বিক্রেতা আয়নাল মিয়া বলেন, ঈদে ঠিকমতো গাড়ি চলাচল করছে না। এ কারণে ঠিকঠাক মতো সবজিও মাঠ আসছে না। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন অল্প অল্প করে সবজি আসা শুরু হয়েছে। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। খাওয়ার লোক নেই। সামনে দাম আরও কমবে বলে তিনি জানান।
মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মাছের দোকান বন্ধ রয়েছে। ইলিশের দাম বেশি। প্রতি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছও তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যান্য সবজির দাম কমলেও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় মোটা নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে।
কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। অথচ বৃহস্পতিবার ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদের পরের দিন কাঁচামরিচসহ সবজির দাম চড়া ছিল। এখন সরবরাহ শুরু হয়েছে, তাই দামও কমে গেছে। পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, যা বৃহস্পতিবার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ বাজারে সবজির দামও ঈদের আগের চাইতে দাম কিছুটা কমেছে। তবে কাওরানবাজারে ক্রেতার সমাগম ছিল তুলনামূলক কম।
কমেছে কাঁচা মরিচের দাম: রাজধানীতে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা করে। আর শুক্রবার বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান,ঈদের জন্য কাঁচামরিচ বহনকারী যানবাহন রাজধানীতে আসতে পারেনি। সরবরাহ কম ছিল। তাই দাম বেশি ছিল। আজ আবার যানবাহন আসায় কাঁচামরিচের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দামও কমেছে। যাত্রাবাড়ী আড়তের পাশে একটি দোকান থেকে কাচাঁমরিচ কিনছিলেন শেখ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, গতকাল কাঁচামরিচ কিনতে এসে দাম শুনে ফিরে যাই। আজ একটু দাম কমেছে। তাই আজ কিনেছি। ২৫০গ্রাম কিনেছি ৩০ টাকায়। গতকাল চেয়েছিল ৫০ টাকা। এছাড়াও যাত্রাবাড়ীর কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করল্লা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি ১০০ টাকা। কলমি শাকের আটি ৫ টাকা, লাল শাকের আটি ১০ টাকা, তিন আটি ২৫ টাকা। পুই শাকের আটি আকার ভেদে ১৫ থেকে ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) ২৫০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের পাল্লা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, রসুনের কেজি বড়টা ৬০ টাকা, বরবটি কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা কেজি ৩০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লেবুর হালি আকার ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ কম। ফলে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।