নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমস ফুটবলের শেষ আটে যেতে পারলো না বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়ে আসরের শেষ ষোল’তে জায়গা করে নিলেও নক আউট পর্বে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে হেরে এশিয়াড থেকে ছিটকে পারলো লাল-সবুজরা। গতকাল জাকার্তার ওয়াইবাওয়া মুক্তি স্টেডিয়ামে শেষ ষোল’র ম্যাচে উত্তর কোরিয়া ৩-১ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিলো। বিজয়ী দলের হয়ে কিম ইউ সং, ইয়ং থাই হান ও কুক সল ক্যাং একটি করে গোল করেন। বাংলাদেশের সাদ উদ্দিন এক গোল শোধ দেন।
এশিয়ান গেমস ফুটবলে ১৯৭৮ সাল থেকে অংশ নিয়ে এ যাবতকাল যা পারেনি তাই এবার করে দেখালো লাল-সবুজরা। আসরে ‘বি’ গ্রæপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী কাতারকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্বে খেলার যোগ্যতা পায় তারা। এর আগে গ্রæপের প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে ড্র করে বাংলাদেশ। তবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাল-সবুজদের চেয়ে ৯৬ ধাপ এগিয়ে থাকা কাতারের বিপক্ষে জিতে গ্রæপ রানার্সআপ হিসেবে দ্বিতীয় পর্বে খেলার যোগ্যতা পায় ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র শিষ্যরা।
২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক ও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে যাদের অবস্থান ৯৮তম স্থানে সেই কাতারকে হারাতে পারলে শেষ ষোল’তে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে কেন জয় পাবেনা বাংলাদেশ? এমন প্রশ্ন দেশের ফুটবলবোদ্ধাদের ভাবিয়ে তুললেও জাকার্তায় কিন্তু লাল-সবুজের ফুটবলাররা ছিলেন উৎফুল্ল। কাতার ম্যাচের জয়ে উজ্জীবিত হয়েই কাল মাঠে নামে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। শক্তিশালী উত্তর কোরিয়া, যারা দু’বার (১৯৬৬ ও ২০১০ সাল) বিশ্বকাপে খেলেছে তাদের বিপক্ষে আক্রমণাতœক ফুটবলই উপহার দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকে সমান তালে লড়লেও ১২ মিনিটে পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজরা। এসময় নিজেদের বক্সে প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ ফেরাতে গেলে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরার হাতে বল লাগে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে তা থেকে গোল করেন কিম ইউ সং (১-০)। বলা যায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তবে পিছিয়ে পড়লেও আক্রমণের ধার ধরে রাখেন জামাল ভূঁইয়ারা। তবে সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি তারা। উল্টো ব্যবধান বাড়ায় উত্তর কোরিয়া। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ইয়ং থাই হান কোরিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন (২-০)। ৬৯ মিািনটে কুক সল ক্যাং গোল করলে ৩-০ তে এগিয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+৩ মিনিট) বাংলাদেশের সাদ উদ্দিন একটি গোল শোধ দেন (১-৩)। তার এই গোল ব্যবধান কমা ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত হেরেই এশিয়াড থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ ১ : ৩ উত্তর কোরিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।