Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে নতুন সতর্কতা জাতিসংঘের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

শরণার্থী শিবির এবং মিয়ানমারে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের ‘সব হারানো প্রজন্ম’ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। ছয় সপ্তাহ শরণার্থী শিবিরে কাটানোর পর জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা শিশুদের রোগ ও বন্যার ঝুঁকি ছাড়াও মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) মুখপাত্র সিমোন ইনগ্রাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের স্বপ্ন যেকোনও সময়ে বিবর্ণ হয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়া এই খবর জানিয়েছে। এক বছর আগে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। সীমান্তের দুই পাড়ের শিশুদের চরম পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার মূল্যায়ন তুলে ধরে ইউনিসেফ। সেখানে সিমোন ইনগ্রাম বলেন, আমরা রোহিঙ্গা শিশুদের একটি প্রজন্মের ক্ষতি ও সম্ভাব্য ক্ষতির আশঙ্কা বিষয়ে কথা বলছি। শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা শিশুরা রোগ ও বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে জেনেভার সংবাদ সম্মেলনে সিমোন ইনগ্রাম বলেন, ঝুঁকি শুধু পাঁচ লাখ শিশু বা সীমান্তের অংশে থাকা শিশুদের নয় বরং যারা এখনও সীমান্তের ওপারে রাখাইনে রয়ে গেছে তাদের শিক্ষায় প্রবেশাধিকারও খুব সীমিত। ইনগ্রাম জানান, জাতিসংঘের ধারণা রাখাইনে এখনও ৫ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৬ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ লাখ ৬০ হাজারই শিশু। রাখাইনে জাতিসংঘের প্রবেশাধিকারের সুযোগ সীমিত। দীর্ঘকাল রাখাইনে বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে মিয়ানমার। রাখাইনে নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর গত বছরের আগস্টে সেখানে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। দেশটির এককালের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সরকার ওই সেনা অভিযানকে বৈধ হিসেবে দাবি করে আসলেও জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা একে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে বর্ণনা করে। এদিকে, শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকার দাবি করছে মিয়ানমারেরে প্রশাসন। ইউনিসেফ মুখপাত্র ইনগ্রাম বলেন, জুনে জাতিসংঘ সংস্থার সঙ্গে ইয়াঙ্গুন সরকারের প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর সত্তে¡ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার আশা যেকোনও সময়েই বিবর্ণ হয়ে পড়বে। তিনি বলেন রাখাইনের পরিস্থিতি এখনও অনিরাপদ। রয়টার্স, এএফপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ