Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজেপি বাংলার মেধাকে ভয় পায় -মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ২:৫৬ এএম

বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি, মেধাকে ভয় পায় বিজেপি।’ ‘বিজেপির সমস্যা কী? কেন বিজেপি বাংলা বিদ্বেষী? বাংলার প্রতি বিজেপির এতো ঘৃণা কেন? আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে? বাংলায় কথা বলা কি অপরাধ? হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, সব ভাষায়ই আমরা কথা বলতে পারি। ভুলে যাবেন না বাংলা এশিয়ার দ্বিতীয়, বিশ্বের পঞ্চমভাষা। আসামে বাংলাভাষীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে- এমন অভিযোগে সেখানকার ক্ষমতাসীন বিজেপি ও দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে খোঁচা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এসব প্রশ্ন ছুড়েছেন,
বিজেপি বাংলা সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের বিরোধিতায় নেমেছে, এমন অভিযোগ তুলে গত সোমবার বিধানসভা ভবনে নিজের দপ্তরে ‘বাংলার নেত্রী’ এ প্রশ্ন ছোড়েন।
নতুন করে নাগরিক তালিকা তৈরির বিরোধিতায় নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মমতা বলেন, ‘আমি চিরকাল উদ্বাস্তুদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কারণ আমি দেখেছি তাদের সংগ্রাম। উদ্বাস্তু হয়ে এসে কী লড়াই চালিয়েছেন। তারা তো ভারতীয়। আজ আবার তাড়িয়ে দেবো? তাদের গ্রেপ্তার করবো? আমাকে যদি বলে, মায়ের বার্থ সার্টিফকেট দেখাও। আমি দেখাতে পারবো? তখন তো আজকের মতো বার্থ সার্টিফিকেটের চল ছিল না। সে কারণে কি আমরা অনুপ্রবেশকারী হয়ে গেলাম?’
গত শনিবার কলকাতায় এক জনসভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ বক্তৃতাকালে আসামের বিতর্কিত ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ’ বা এনআরসির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, মমতারা যতই বিরোধিতা করুন, এনআরসি হবেই। অনুপ্রবেশকারী রুখতে এ পদক্ষেপ থেকে পিছু হটবে না বিজেপি।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আসাম সরকারের স¤প্রতি প্রকাশিত ওই নাগরিকপঞ্জীতে সেখানকার মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষের জায়গা হয়। বাদ পড়েন প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দা।
রাজ্যের কর্মকর্তারা বিশেষ করে কট্টরপন্থিরা মনে করেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক বাসিন্দা আসামে ঢুকে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন এবং রাজ্যের জনতাত্তি¡ক চিত্র বদলে দিচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী বা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা এই তালিকাকে ‘ভোটের রাজনীতির অংশ’ এবং ‘সা¤প্রদায়িক’ বলে নিন্দা করে আসছেন। মমতা সাফ বলে আসছেন, ‘বাঙালি খেদানোর জন্য’ এই তালিকা করা হয়েছে।
শনিবার অমিত শাহর ওই বক্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইলিশ মাছ, জামদানি কি অনুপ্রবেশকারী? নাকি উদ্বাস্তু? সন্দেশ, মিষ্টি দই, আম? এসবও কি অনুপ্রবেশকারী? যারা বাংলার সংস্কৃতি জানেন না, তারা এ-সব বলছেন।
নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের কারও নাম উচ্চারণ না করলেও মমতা বলেন, ‘বিজেপি সারাদেশের মানুষের মধ্যে ঘৃণার সঞ্চার করছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করছে। যারা বাংলাকে অপমান করে তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজেপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ