পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানীর মানুষ। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কয়েক দিন পর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে শুরু হবে ঈদযাত্রা। কিন্তু এতসব আনন্দে বাদ সাধছে অনিশ্চয়তা। থাকছে ভোগান্তির আশঙ্কা। এবার ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের খানা-খন্দ চরম ভোগান্তির কারণ হতে পারে। মেরামতের কাজ শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো শেষ করতে পারা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে প্রতিবছর ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। কোথাও চলছে সংস্কারকাজ, কোথাও রয়েছে খানা-খন্দ। ফলে এই মহাসড়ক চলাচলকারীদের আশঙ্কা, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এবারও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা হবে না। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সমস্যা চিহ্নিত করে বিভিন্ন স্থানে সংস্কারকাজ চলছে, ঈদ যাত্রার আগেই তা শেষ হবে।
মহাসড়কের কুমিল্লায় বেশকিছু অংশ খানা-খন্দের কারণে এখন প্রায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কিছু দূর পরপর খানা-খন্দ। আর কতটুকু যেতেই পরপর দেবে যাওয়া চিহ্ন। উঁচু আর নিচুতে হেলেদুলে চলছে গাড়ি। বিশেষত দেশের অন্যতম এ মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে ফেনী পর্যন্ত এমন বেহাল দশা। প্রতি বর্ষায় শুরু হয় ভোগান্তি। বাড়ে দুর্ঘটনা আর আতঙ্ক। গত বছর মহাসড়কের এসব স্থানে অতিরিক্ত খানা-খন্দ সৃষ্টি হলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংস্কার করেন। কিন্তু বছর না পেরুতেই দেখা দেয় সেই দৃশ্যপট। ফলে সন্দেহ করা হচ্ছে কাজের মান নিয়ে। গাড়ির চাকার সঙ্গে দেবে যাচ্ছে নবনির্মিত লেনের বিভিন্ন স্থান। প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে ছোট-বড় গর্ত।
এদিকে কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলো প্রায়ই যানজটে আটকা পড়ছে। কখনো যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বাস-ট্রাক চালকরা বলছেন, ঢাকা বা কুমিল্লা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পরে কখনো কখনো তীব্র যানজটের কারণে ৪-৫ ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় পার করতে হচ্ছে সড়ক পথেই। এটি এখন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। মাঝে-মাঝে দুই-একদিন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু অধিকাংশ দিনই থাকে যানজটের চিত্র। কখনো পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে যে, সকালে পৌঁছার কথা থাকলেও সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে হয়ে যায় সন্ধ্যা। সরেজমিন সড়কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, দাউদকান্দি টোল প্লাজায় গাড়ির অতিরিক্ত চাপে সড়কটি দেবে যাওয়ায় উঁচু আর নিচুতে হেলেদুলে চলছে গাড়ি। কিছুদিন আগে নামে মাত্র সংস্কার করা হলেও পূর্বের সমস্যাটি রয়ে যায়। মহাসড়কের মেঘনা সেতু টোলপ্লাজার পশ্চিম পাশের সড়কটিও খানাখন্দে ভরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেতুর নির্মাণকাজ চলার কারণে মহাসড়কের একাংশ কেটে ফেলায় ওই এলাকায় যানজট প্রতিনিয়িত লেগেই থাকে। এ ছাড়া মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পিচ ঢালাই নষ্ট হয়ে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গুরুত্বপূর্ণ মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজার পশ্চিম পাশের সড়কটি পানিতে তলিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন বলেন, ঈদে মহাসড়কে পরিবহন চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে অনেক স্থান মেরামত করা হয়েছে। বাকি স্থানগুলোতে খুব শিগগিরই সংস্কার করার কথা জানান তিনি।
মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা থেকে দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর কয়েকটি স্থানে সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া একই সড়কে কটুম্বপুর থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইলিয়টগঞ্জ থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন যানজট লেগেই আছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন বলেন, ঈদের আগেই মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক মেরামত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।