বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ইউনিয়নে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের বরাদ্দ দেওয়া ২০ কেজি ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে অনিয়ম, ওজনে কম দেয়ায় দরিদ্র-মানুষজন ইউপি সচিব ও মেম্বারদের কাছে অভিযোগ জানালে তাদের ধমক দিয়ে জোর পূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ঐ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা বিলচলন ইউনয়ন পরিষদে এই ঘ ট না ঘটে। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ২০ কেজির স্থলে জনপ্রতি ১৬ থেকে সাড়ে ১৭ কেজি (বস্তাসহ) চাল দেওয়া হয়েছে। প্রতি বস্তায় গড়ে ৫ কেজি করে চাল কম। এই ইউনিয়নে ৭৮৫ জনকে চাল দেয়া হয়। সবাই বস্তায় চাল ঠিক আছে বলে প্রথমে মনে করেন। ঐ ইউনিয়নের কুমারগাড়ি গ্রামের জয়গন নেছা নামে এক বৃদ্ধার সন্দেহ হলে তিনি বস্তাটি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও সামনে একটি দোকানে ডিজিটাল ওৎন মাপার যন্ত্রে দিলে দেখা যায়, তার বস্তায় ১৬ কেজি চাল রয়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় তারা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও ট্যাগ কর্মকর্তাকে বিষটি জানালে তাদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই একইরূপ ঘ ট না ঘটেছে নিকটবর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ইউনিয়নে। ভুক্তভোগীরা তাৎক্ষণিক চাল বিতরণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরই ইউএনও চাল বিতরণ ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য পিআইও অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে সেখানে পাঠান। জানা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে ৯ শ’১০ জন গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তিকে ২০ কেজি করে চাল প্রদানের জন্য নির্বাচিত করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পরিষদ থেকে চাল বুঝে নেয়ার পর দেখা যায় ২০ কেজি চালের স্থলে (বস্তাসহ) ১৮ কেজি চাল আছে। এসময় তারা সেখানে সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাকে না পেয়ে তখনই ইউএনও উম্মুল বানীন দ্যুতিকে বিষয়টি জানান। পরে পিআইও অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ইউপি কার্যালয়ে এসে বিতরণকৃত চাল ওজন দিয়ে ২ কেজি করে কম দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি তিনি অবহিত হওয়ার পর একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। তিনি পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন। সম্ভবত এরপর থেকে সঠিকভাবে বিতরণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।