আজ রোববার রংপুর মহানগরীর দর্শনা এলাকায় বাসচাপায় এক স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে ১০/১২ টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ রাবার বুলেট, টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রায় ৩ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর দর্শনা এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শুটকি আড়তের সামনে বাস চাপায় জিয়ন নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হলে স্থানীয় জনতা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ লোকজন এ্যাম্বুলেন্সসহ ১০/১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এক এক পর্যায়ে ২ রাউন্ড রাবার বুলেট, দুই রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোকারীরা ছত্রভঙ হয়ে পড়ে। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, নিহত জিয়ন বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মন্ডলের হাট গ্রামের লোহানীপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের ছেলে এবং নগরীর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে দর্শনার ঘাঘটপাড়া এলাকার ‘মেঘলা’ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করতো। সকালে বাইসাইকেল নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।