Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উই ওয়ান্ট জাস্টিস

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

‘চকচক করলেই সোনা হয় না’। মশহুর এই প্রবাদটি বুঝার জন্য কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি সমাজ-সংসারের প্রাত্যহিক জীবন থেকে। (এক) বাসায় মেহমান এসেছে। মেহমানের বিছানায় বালিশের কাভারটি খুব সুন্দর; মাত্রই ধুয়ে ইস্ত্রি করে এনে লাগানো হয়েছে। বিছানাটাও পরিপাটি; চাদরটি খুব সুন্দর। কিন্তু এর মানে এই নয় যে পুরো বালিশটি বা বিছানার তোষকটি ভেতরে-বাইরে সবকিছু সুন্দর হবেই হবে। রাতে শোয়ার সময় বালিশের উপর মাথা রাখার পর বোঝা গেল যে, ভেতরে যে তুলা সেগুলো নিম্নমানের এবং টুকরা টুকরা শক্ত হয়ে গিয়েছে; সন্দেহ হয়, তুলার সঙ্গে দলা দলা ন্যাকড়া মেশানো আছে। মাথায় দিয়ে আরাম নেই। বিছানার উপর চাদরটি ছিল কুমিল্লার খাদি ঘরের; এখনও ব্যবহার হয়নি, মেহমানের জন্য মাত্রই আলমারী থেকে এনে দেওয়া হলো। চাদরটি তোলার পর দেখা গেল তোষকটি অনেকদিনের পুরানো এবং ময়লা; ছারপোকায় ভরা। (দুই) একজন ভদ্রলোক সবসময় সুন্দর প্যান্ট-শার্ট পরে এসে অফিস করেন; পায়ে খুব সুন্দর দামি স্যান্ডেল থাকে। একদিন অফিসে ভদ্রলোক হঠাৎ করে অসুস্থবোধ করলেন, বললেন মাথা ঘুরাচ্ছে। সহকর্মীরা দৌড়িয়ে আসলেন এবং তাকে একস্থানে চিৎ করে শুইয়ে দিলেন। সকলে মিলে পরিচর্যা করলেন। পরিচর্যার সুবিধার্থে গায়ের জামাটা খুলে ফেললেন। খোলার পর সহকর্মীরা একটু বিব্রত হলেন; দেখলেন গেঞ্জিটা খুবই ময়লা, মনে হলো চার-পাঁচদিন খোলা হয় না, ধোয়া হয় না। একজন সহকর্মী ফোড়ন কাটলেন; বললেন, ভাগ্যিস মাথা ঘুরাইছিল না হলে টেরই পাওয়া যেত না ভেতরে-বাইরে কত তফাৎ। (তিন) ভদ্রলোক সবসময় দান-খয়রাত করেন। কোনো মিটিংয়ে গেলে বা কোনো কাজে ঘরের বাইরে থাকলে, আলাপ-আলোচনার সময় সবসময় দান-খয়রাতের পক্ষে বলেন এবং উপস্থিত আশেপাশের বয়-বেয়ারা, পিয়ন-আরদালি সবাইকে উদার মনে বখশিশ দেন। মানুষ সবাই তাকে সমীহ করে চলে। হঠাৎ একদিন পত্রিকায় আসলো, তার বাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভদ্রলোকের বাড়ির দরজার সামনে একজন ভিক্ষুক গিয়েছিল, একবারের জায়গায় দুইবার ভিক্ষা চাইতেই, দারোয়ান ভিক্ষুককে মেরে গেট থেকে দূরে ফেলে দেয়। ইট পাথরের উপরে পড়ে ভিক্ষুকের মাথা ফেটে যায়, রাস্তার লোকেরা ধরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভদ্রলোকের বাড়ির সবাই প্রচার করলো, ও মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল। (চার) আমাদের দেশে টয়োটা ল্যান্ডকুইজার বা প্রাডো এই ধরনের বড় গাড়িগুলো একনামেই পরিচিত। নতুন সুন্দর গাড়ি, ড্রাইভার অতি যত্ম নিয়ে চালায়, ভদ্রলোক গাড়িতে উঠার আগে একবার এবং নামার সময় আরেকবার ড্রাইভারকে তাগাদা দেন গাড়ির গায়ে যেন কোনো আঁচড় না পড়ে। ভদ্রলোকের ড্রাইভার একদিন বললো, হাতে চোট পেয়েছি, স্টিয়ারিং ঘোরাতে কষ্ট হচ্ছে তাই দুইদিন বিশ্রাম দরকার। ভদ্রলোক বকা দিলেন, গালি দিলেন, বললেন ওইসব ব্যাথাবুথা বুঝি না, ঠিক মতো গাড়ি চালাইবা। গাড়ি চললো, হালকা দুর্ঘটনা ঘটলো এবং ভদ্রলোক রাগান্বিত হয়ে গেলেন; ড্রাইভারকে একটা ধাক্কা মারলেন।

যে চারটি উদাহরণ উপরে দিলাম, তার সঙ্গে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কিছু কিছু অঙ্গনের, কিছু কিছু বাস্তবতার মিলটা তুলে ধরার জন্য। বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ কাজে লোহার রডের বদলে বাঁশের পাতি দেওয়া হচ্ছে এটা সবাই দেখছেন। পরীক্ষায় খাতায় কলম দিয়ে কোনো কিছু আঁকাউঁকি দেখলেই, পরীক্ষক তাকে অন্তত পাশ নম্বর দিয়ে দিচ্ছেলেন দুই তিন বছর আগেও। কাস্টমস বা শুল্ক বিভাগ, চোরাচালানীদের নিকট থেকে জব্দ করলেন সোনা এবং সেগুলো নিয়ম মোতাবেক জমা দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে। কিছুদিন পর দেখা গেল, সোনা তামা হয়ে গিয়েছে! বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উড়ে গিয়েছে। কিশোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বাস্তবতা টের পাওয়া গেল, হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় চলছে অথচ বিআরটিএ থেকে ফিটনেস না করিয়ে। টের পাওয়া গেল, গাড়ির চালকগণের যত সংখ্যা, প্রায় তিন ভাগের এক ভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বাস্তবতা হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স যাদের আছে তাদের মধ্যেও সবাই যে সুন্দরভাবে পাশ করে লাইসেন্স পেয়েছে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
যেদিন শহীদ রমিজউদ্দীন কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হলো, সেদিন থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি, সহমর্মিতা জানিয়ে আসছি। ৩১ জুলাই ২০১৯ তারিখ রাত সাড়ে এগারোটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত, এসএটিভি’র লাইভ টকশোতে উপস্থিত ছিলাম। বক্তব্যের প্রথম ৭ মিনিটই ছিল কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি নির্যাতনের তথা রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিবাদ। রবিবার ৫ আগস্ট তারিখে নিহত অন্যতম শিক্ষার্থী, হাতিয়ার সন্তান রাজিবের মায়ের সঙ্গে দেখা করলাম, সম্মান ও সমবেদনা জানালাম। এইটুকু বলার পর বলবো, তথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী তথা রাজিব এবং দিয়া খানম মিম নিজেদের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে পথে নামতে বাধ্য করলো, আন্দোলনে যেতে উৎসাহিত করলো। রাজিব এবং মীম যেই কলেজের ছাত্র সেটা একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে; কলেজটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উত্তরাংশে অবস্থিত, এয়ারপোর্ট রোডের লাগোয়া। ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামের ইজ্জত রেখেছে; আন্দোলনের সূচনা তারাই করেছে। আন্দোলনকারীরা, লাগাতার আটদিন রাস্তায় থেকে, বাংলাদেশের সচেতন বলে দাবিদার নাগরিকগণের চোখ খুলে দিয়েছে; অসচেতন নাগরিকদের ঘুম থেকে জাগিয়ে সচেতন করেছে। এই আন্দোলনের কারণেই আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের সমাজ এবং প্রশাসন কত মেকি, কত ছদ্মবেশ পরা। সীমাহীন আসমানের দিকে স্যাটেলাইট যাচ্ছে; ইন্টারনেট সেবা ফোর-জি থেকে ফাইভ-জি’তে যাচ্ছে; নিম্ন আয়ের দেশ থেকে প্রমোশন পাচ্ছি আমরা কিন্তু আমাদের ভিতরে যে এত ফাঁক-ফোঁকর, এতো শুভঙ্করের ফাঁকি, সেটা কেউ জানতো না। আন্দোলনের কারণেই আমরা টের পেলাম, আন্দোলনের ষষ্ঠ-সপ্তম-অষ্টমদিনে, পুলিশ দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে না করিয়ে, পুলিশের ছত্রছায়ায় সরকার দলীয় রাজনৈতিক সংগঠনের মানুষকে দিয়ে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের উপর কীভাবে আক্রমণ করানো হয়; আমরা টের পেলাম ক্ষমতার মোহের কারণে মানুষ কত নিষ্ঠুর হতে পারে।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য অহরহ আহ্বান জানাচ্ছেন দেশের জ্ঞানীজন, গুণীজন। আইনের শাসন কায়েমের জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নৈতিকতার পক্ষে বয়ান করছেন সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নৈতিকতার চর্চা, আইনের প্রতি সম্মান ইত্যাদি কী রকম এবং কতটুকু, সেটা বোঝানোর জন্য আমি এই কলামের শুরুর দিকেই কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছি। একটানা আটদিন ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে কোমলমতি ছাত্রদের আন্দোলন সম্বন্ধে পাঠক অবগত আছেন। পাঠকের জানার আংশিক উৎস হলো টেলিভিশনের নিউজ, আংশিক উৎস হলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং যারা অভ্যস্ত তাদের জন্য বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার। কত বড় বড় মানুষের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই সেটা বাংলাদেশের মানুষ আবিষ্কার করলো। কত বড় বড় মানুষের নিজের অথবা তার মালিকানাধীন গাড়ির ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বা মেয়াদ উত্তীর্ণ সেটাও মানুষ আবিষ্কার করলো। ব্যস্ত মহানগরের রাস্তায় উল্টাদিক থেকে গাড়ি চালানোর প্রবণতা বিশেষ করে ক্ষমতাসীন মানুষের, সেটা মানুষ আবিষ্কার করছিল বহুদিন ধরে কিন্তু নতুন করে আবিষ্কার করলো এই আন্দোলনের সময়। পরিবহন অঙ্গনে এত প্রকারের জঞ্জাল জমা হয়েছিল যে, সেটা ছাত্রদের আন্দোলন না হলে মানুষ সম্যকভাবে উপলব্ধিই করতে পারতো না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মানুষ বললো, উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট তথা উপরে সব সুন্দর ভেতরে সব ময়লা। ঘরের বাইরে অনেক বাতি জ্বলছে কিন্তু ঘরের ভেতরে সব বাল্ব ফিউজ। একই সঙ্গে উপলব্ধি হয়েছে, পরিবহন সেক্টরের লক্ষ লক্ষ ড্রাইভার এবং হেলপার, তারাও তো এই বাংলাদেশেরই নাগরিক, এই সমাজেরই মানুষ। বেদনাদায়ক ঘটনাক্রম হলো এই যে, দুর্ঘনায় নিহত ছাত্রী দিয়া খানম মীমের পিতা নিজেই একজন গাড়ির ড্রাইভার; ৩০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে গাড়ি চালাচ্ছেন। এই আন্দোলনের ফলেই নাগরিক সমাজের সচেতন অংশের মধ্যে এই উপলব্ধি এসেছে যে, পরিবহন সেক্টরের কর্মীদের বিপথে যাওয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
নাগরিক সমাজ শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। কোনো জায়গায় পিতা কোনো জায়গায় মাতা, কোনো জায়গায় দাদা-দাদী বা নানা-নানী শিশু-কিশোরদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার অন্তর ছিল শিশু-কিশোরদের পাশে; স্বশরীরে তাদের আন্দোলনের ধারে-কাছে যাইনি, স্বশরীরে কারো সঙ্গে কথা বলিনি যেন কেউ অপবাদ দিতে না পারে যে, রাজনৈতিক কর্মী ইবরাহিম উস্কানি দিচ্ছে। টিভিতে বলেছি, ফেইসবুকে লিখেছি, পেপারে লিখছি। দেশব্যাপী নাগরিক সমাজ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এরকম একটি আলোচনা সভা ছিল সোমবার ৬ আগস্ট ২০১৮ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১:৩০ মিনিট পর্যন্ত; ঢাকা মহানগরের জাতীয় প্রেসক্লাবের বড় হলঘরে। ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার জাফরউল্লাহ চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেছিলেন প্রফেসর আসিফ নজরুল। কোনো প্রধান অতিথি ছিল না। মঞ্চে এবং মঞ্চের সামনে বসেছিলেন প্রফেসর বি চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম, সাবেক আমলা ও সংসদ সসদ্য এসএম আকরাম, মাহমুদুর রহমান মান্না, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দীন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মেজর আব্দুল মান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজ, মোস্তফা আমিন, ফায়জুল হাকিম লালা, আব্দুল মালেক রতন, একাত্তরের ঢাকার ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এবং আরও অনেকেই। সেখানে আলোচনা হয় অনেক কিছুই, যেটা স্থান অভাবে আজকে তুলে ধরছি না; আগামীতে কলামে তুলে ধরবো। আজকে শুধু যেই ৮ দফা প্রস্তাব সেই আলোচনা সভার শেষে গৃহীত হয়েছিল, সেগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরছি।
এক। সড়ক পথে নৈরাজ্য বন্ধে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার দাবী করছি।
দুই। সড়ক পরিবহনে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এর মালিকানার সঙ্গে এবং সড়ক শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িত নৌ মন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা মনে করি, দরকষাকষি শক্তির (শ্রমিক সংগঠন) নেতা এবং বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ (মন্ত্রী) একই ব্যক্তি হলে তা স্বার্থের সংঘাত হয়, এমনকি তা মন্ত্রীর শপথের লংঘনও হয় বলে এই পদত্যাগ জরুরি হয়ে পড়েছে। তিন। বিদ্যমান আইনগুলোর সংস্কার করে সড়ক পরিবহনে আইন লংঘনের শাস্তি কঠোরতর করতে হবে। বিশেষ করে লাইসেন্স ছাড়া, ফিটনেস ছাড়া রাজপথে উন্মত্তভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করার ন্যূনতম সাত বছরের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি লাইসেন্সহীন বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভারদের চালাতে দিলে সড়ক শ্রমিকের পাশাপাশি যানবাহনের মালিকদেরও সড়কপথে মৃত্যুর দায় নিতে হবে এবং এজন্য আইন মোতাবেক অপরাধে সহযোগীর শাস্তি পেতে হবে। চার। সড়কপথে বেপরোয়া দুর্ঘটনাজনিত বা মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনায় মালিক পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের বিধান আইনে থাকতে হবে। পাঁচ। অবিলম্বে স্কুল-কলেজগুলোর সামনে ফুট ওভারব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং এবং স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করতে হবে। ছয়। অবিলম্বে পর্যায়ক্রমে স্কুল বাস চালুর ব্যবস্থা করে সড়কপথে চাপ কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। সাত। উল্টোপথে গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে এবং এজন্য তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আট। সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ তদারকীতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিশন গঠন করে প্রতি এক মাস অন্তর এর অগ্রগতি জনগণকে জানাতে হবে।
লেখক: চেয়ারম্যান, বাংলাদেশকল্যাণপার্টি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন