বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তঁরায় জঙ্গি হামলার মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।
গতকাল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। পাশাপাশি পলাতক আসামদের গ্রেফতার করা গেল কি না- সে বিষয়ে আগামী ১৬ অগাস্ট পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এরআগে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা, বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানো। জীবিত আট আসামির মধ্যে যে ছয়জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর। এছাড়া চিহ্নিত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গ্রেফতাকৃত ছয় আসামির মধ্যে বুধবার আসামি জাহাঙ্গীর ছাড়া সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে আসামি জাহাঙ্গীরকে কেন আদালতে আনা হয়নি সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা জানতে চান বিচারক।
গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. গোলাম সারোয়ার খান এবং ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার। তারা সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এ মামলা বিচারের জন্য গত ৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ আইনের মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতুদন্ড। এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে মোট ২১১ জনকে। তাদের মধ্যে ১৪৯ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ওই ঘটনা সম্পর্কে জানেন বলে পুলিশের ভাষ্য। এরআগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে কূটনীতিক পাড়া গুলিশানের হলি আর্টিজান রেস্তঁরায় হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। রাতভর উৎকণ্ঠার পর ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সঙ্কটের অবসান ঘটে। সরাসরি অংশগ্রহণে হলি আর্টিজানে ওই হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ তরুণ - রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খারুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।