পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই বড়পুকুরিয়ায় কয়লা গায়েবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে জ্বালানি দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা গায়েবের বিষয়ে একটা সাময়িক তদন্ত হয়েছে। বড় আকারে তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা গিয়েছিলেন। তারা এখনো রিপোর্ট পেশ করেননি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন। তারপর দাপ্তরিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তদন্ত করা ছাড়াও এক্সপার্ট, শিক্ষক, এক্টিভিস্টরা আছেন যারা এগুলো নিয়ে কাজ করেন, তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সবকিছু মিলে মনে করছি, একটা ভালো ও সঠিক রিপোর্ট আমরা পেতে পারি। সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনা গত ১৩ বছর ধরে হয়ে আসছে। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে সেটারও একটা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়েই কিন্তু এ দুর্নীতিগুলো ধরা পড়ছে। আপনারা কিছুদিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কয়লা গায়েব হওয়ার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই। সবই ট্রান্সপারেন্ট থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়ায় উন্মুক্ত খনন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে পুনর্বাসন, খনির পানি ব্যবস্থাপনা কঠিন বিষয়। একইসঙ্গে সরকার বেশি কয়লাও উত্তোলন করতে চাইছে। দুই দিকে সমন্বয় করেই বড়পুকুরিয়াতে উন্মুক্ত খনি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। মধ্যপাড়া কঠিন শিলার খনির পাথর গায়েবের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অভিযোগ পাইনি। একটি নীরিক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভিযোগ এসেছে। আমরা চাই সব ক্ষেত্রে এমন নীরিক্ষা হোক।
এলএনজি আমদানি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৯ আগস্টের পর যেকোনও দিন এলএনজি আসবে। তবে এখনও তিনি নির্দিষ্ট করে ঠিক কোন দিন এলএনজি আসবে তা বলেননি। কেন আসছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বৈরী আবহাওয়া এবং পাইপ লাইনে সমস্যার কারণে এলএনজি আসতে দেরি হচ্ছে। বছরের শেষ নাগাদ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশা করি। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নেবে না। গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে।
বিইআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাসের দাম ৩০-৩৫ ভাড়া বাড়বে। যদিও ক্ষেত্রে সরকারকে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। তবে সরকার এই সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি করলে গ্যাসের দাম আরও কম বৃদ্ধি করলেও চলবে।
রিল্যায়েন্সের বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে তিনি বলেন, রিল্যায়েন্স বিভিন্ন সময়ে তাদের পরিকল্পায় পরিবর্তন আনছে। তারা একবার বলছে নিজেরাই এলএনজি আমদানি করবে। আবার বলছে আমাদের গ্যাস দিতে হবে। আমাদের গ্যসের ঘাটতি রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে গ্যাস প্রদান চুক্তি সই করার পর গ্যাস না দিতে পারলে জরিমানা (এলডি) দিতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে রিল্যায়েন্সের কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।