বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সড়ক পরিবহন মালিক গ্রæপের অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও চট্টগ্রামে গণপরিবহনের সঙ্কট কাটেনি। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে মহানগরী ও জেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশি তল্লাশির কারণে বেশিরভাগ গণপরিবহন রাস্তায় নামেনি। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে। টানা দুই দিনের ধর্মঘট শেষে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একদিকে গণপরিবহনের সঙ্কট অন্যদিকে যানজটে আটকা পড়ে নগরবাসীকে নাকাল হতে হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘট শেষে বন্দরমুখী হাজার হাজার ভারী যানবাহনের কারণে মহানগরীর কয়েকটি প্রধান সড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে। বিকেলে তিনি নিজেও পোর্ট কানেকটিং রোডে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েন বলে জানান। তিনি বলেন, পোর্ট কানেকটিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সংস্কার কাজ চলছে। এর ফলে অন্য সড়কগুলোতে ভারী যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সাধ্যমতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত দুইদিনে প্রায় আড়াই হাজার যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশি অভিযানের মুখে যানবাহনের কাগজপত্র তৈরির হিড়িক পড়েছে। গত দুইদিন বিআরটিএ কার্যালয়ে প্রচÐ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সনদসহ যানবাহনের কাগজপত্র হালনাগাদের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশি তল্লাশির ভয়ে লক্কর-ঝক্কর বাসের বিরাট অংশ রাস্তায় নামেনি। ফলে নগরীতে যানবাহনের সঙ্কট দেখা যায়। বাসের দরজায় ঝুলে এবং ছাদে বসেও যাত্রীদের ভ্রমণ করতে দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।