নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ থাকা গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে তা খুবই স্বল্প পরিসরে।
ফলে কর্মমুখী মানুষ অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন সড়কে মানুষকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই নিরুপায় হয়ে বিগত কয়েক দিনের মতো পায়ে হেঁটে, রিকশা, অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়তি ভাড়া গুণে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
যা দু’একটা বাস আসছে, মুহূর্তে তাতে উঠতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। অনেককেই বাদুর ঝোলা করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
রাজধানীর প্রগতি স্মরণি সড়কে তুরাগ, সুপ্রভাত, অনাবিল, সালসাবিল পরিবহনের বাস চলছে। কিন্তু, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গাড়ির দেখা মিলছে না। এছাড়া এই সড়কে চিড়িয়াখানাগামী নূরে মক্কা এবং মোহাম্মদপুর থেকে কুড়িল বিশ্বরোডগামী বিআরটিসি পরিবহনের বাস চলছে।
এসব বাসে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গুলিস্থানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আহমেদ ইমতিয়াজ। তিনি জানান, গাড়ির জন্য সকাল সাড়ে সাতটা থেকে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। আধা ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও উঠতে পারেননি। অগত্যা পাঠাও করে অফিসে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গুলিস্থান থেকে গাজীপুরগামী এয়ারপোর্ট পরিবহন, ক্যান্টনমেন্টগামী ট্রাস্ট পরিবহনের বাস চলতে দেখা গেছে। তবে তা খুবই কম।
বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে সায়েদাবাদগামী বলাকা, গাজীপুর থেকে গুলিস্থান-সদরঘাটগামী আজমেরি, স্কাইলাইন ও গাজীপুর পরিবহনের স্বল্পসংখ্যক বাস চলাচল করছে।
এছাড়া বিভিন্ন বাস টার্মিনাল থেকে কিছু সংখ্যক দূরপাল্লার বাস ঢাকা ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এরআগে গতকাল রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সোমবার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে গাড়ি চলাচল করবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সোমবার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে দূরপাল্লার বাস চলাচল করবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের টানা বিক্ষোভ, যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা শুরু করেন। এরপর মালিক ও শ্রমিকেরা নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সারাদেশের সব পথে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সারাদেশের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন