বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নতুন মজুরি কাঠামোতে পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ১০ হাজার ২৮ টাকা করার সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল রোববার রাজধানীর ব্রাক ইন সেন্টারে ‘মিনিমাম ওয়েজেস অ্যান্ড লাইভলিহুড কনডিশনস অব আরএমজি ওয়ার্কাস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সিপিডি চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান, সিপিডির ফেলো মোস্তফিজুর রহমান, পোশাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বিদ্যমান মজুরি কাঠামোর গ্রেড ৭ বিলুপ্ত করে নতুন মজুরী কাঠামোতে গ্রেড ৬ এর নূন্যতম মজুরি ১০ হাজার ২৮ টাকার সুপারিশ করেন তিনি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে সিপিডির এই গবেষক বলেন, অঞ্চলভেদে পোশাক শ্রমিকদের ব্যয়ে তারতম্য রয়েছে। ঢাকার বাইরে গাজীপুরে জীবনযাত্রার ব্যয় সবচেয়ে বেশি। আর ঢাকার ভেতরেও ব্যয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। তাই মিরপুর ও তেজগাঁওয়ের শ্রমিকের বেতন এক হওয়া ঠিক নয়।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র বাড়ি ভাড়াই সবচেয়ে বড় ব্যয় নয়। শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ব্যয় হয় মান্থলি ইন্সটলমেন্টে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যেও বড় ব্যয় হচ্ছে। ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ৮৬ শতাংশ শ্রমিক এখনও টয়লেট শেয়ার করেন। ৮৫ শতাংশ শ্রমিক তাদের রান্নাঘর শেয়ার করেন। ৪০ শতাংশ শ্রমিকের ঘরে কোন টেবিল নেই। ৪৪ শতাংশ শ্রমিকের ঘরে চেয়ার নেই। মাত্র ৫ শতাংশ শ্রমিক তার বেতন পান মোবাইল বা ব্যাংকিং চ্যানেলে। শ্রমিকদের বেতন ব্যাংকে দেয়া বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, ১৬ হাজার টাকার দাবি নিয়েই আমাদের আরও বেশি কথা বলা উচিত। ৭ মাসে মজুরি বোর্ডের মাত্র তিনটি বৈঠক হয়েছে, এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। আরেক শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার বলেন, আমরা শ্রমিকরা ১৬ হাজার টাকার মজুরির দাবিতেই আছি। কিন্তু মজুরি বোর্ডে যিনি শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তিনি প্রকৃতপক্ষে শ্রমিক নেতা নন। মজুরি বোর্ডে কী সিদ্ধান্ত হবে না হবে, তা জানি না। আমরা কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপই কামনা করবো।
বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, সিপিডির পক্ষে মজুরির সুপারিশ দেয়া অযৌক্তিক। মজুরি নিয়ে প্রস্তাবনা দেয়া আমাদের কাজ নয়। মজুরি বোর্ডে এই আলোচনা চলমান রয়েছে। দুই পক্ষ নেগোসিয়েশন করছে। সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আরও বলেন, নূন্যতম মজুরিকে আমরা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে পরিণত করছি। এর পরিণত ভালো নাও হতে পারে। তাই এখনই এ ঘৃণ্য খেলাটি থামানো উচিৎ। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতেই মজুরি নির্ধারণের কথা বলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।