Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরদীতে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ

ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ঈশ্বরদীতে মজুরি বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মুলাডুলি ইক্ষু খামারের শ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত কাজ না করার ঘোষণা দেন। গতকাল রোববার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইক্ষু খামারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের আওতাধীন মুলাডুলি বাণিজ্যিক খামারের ৬০০ একর আখ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সেখানে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে ৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া আছে। তারা শিফট্ ভিত্তিতে দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় কিছু কিছু করে বৃদ্ধির ফলে তারা বর্তমানে ২১০ টাকা করে দৈনিক মজুরি পান।
স¤প্রতি ওই বণিজ্যিক খামারের অন্য শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। একই খামারে অন্য শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হলেও রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওই ৫০ জন শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়নি। মূলত এসব বিষয়েই বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা গত শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সে সময় পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবি গুলোর মধ্যে- ০১. মজুরি বৃদ্ধি; ০২. বকেয়া টাকা পরিশোধ; ০৩. বাৎসরিক ছুটি কার্যকর করা; ০৪. ঈদ উৎসবভাতা প্রদান; ০৫. প্রতি সপ্তাহের মজুরি প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করা।
শ্রমিক সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা সারা বছর কঠোর প্ররিশ্রম করে আখ রক্ষণাবেক্ষণ করলেও আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়নি। বর্তমানে ৩০০ টাকার কমে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না। অথচ আমরা মাত্র ২১০ টাকা মজুরিতে কাজ করে আসছি। অপর শ্রমিক সরদার আব্দুল মালেক বলেন, এই ইক্ষু খামারে যারা ৮ ঘণ্টা কাজ করে তাদের মজুরি ১৭৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি হয়েছে ২৩০ টাকায়। এটা কোনো আইন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, মজুরি বৃদ্ধি করা হলে এখানে কোনো কাজ হবে না। শ্রমিক ইয়াছিন আলী অভিযোগ করেন, আগে প্রতি সপ্তাহে মজুরি প্রদান করা হলেও এখন দেড় মাস-দুই মাস পর মজুরি প্রদান করা হয়। তাও আবার কয়েক ভাগে ভাগ করে। আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুপারভাইজার সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আ. কাশেম, ইদ্রিস আলী, মেজর ও আলম প্রমুখ।
এ বিষয়ে খামার প্রধান (ডিএম) নুরুল উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের দাবিটা যৌক্তিক। মিলের উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে না জন্যই এসব দাবি পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঈদের আগের সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রমিকরা কাজ না করলে খামারের সমস্যা হবে, তাই বিষয়টি ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ