Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীতে স্কুল মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেরামত কাজে অনিয়ম এবং শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য আমতলী উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে এক লাখ ছয় হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দের ২৫-৩০ শতাংশ অর্থ শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আত্মসাৎ করে বাকি অর্থ প্রধান শিক্ষকের বরাবরে হস্তান্তর করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, ১০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সব চেয়ে উন্নতমানের কাজ হয়েছে চাউলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেখানে বিধ্যালয়ের সভাপতি শিল্পপতি মো. নুরুল ইসলাম বাবুলের সহযোগিতা নিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করে একটি শিক্ষক রুম নির্মাণ করা হয়েছে। আমড়াগাছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর সোনাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো কাজ না করে সম্পূর্ণ অর্থ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. হাবিবুর রহমার আত্মসাৎ করেছে।
আমড়াগাছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ কোথায় করা হয়েছে দেখতে চাইলে তিনি জানান, ইউএনও ও টিও সাহেব সব দেখে গেছে, আপনার দেখার কোন প্রয়োজন নেই। সর্বোচ্চ ৩০-৪০ শতাংশ হাজার টাকার মেরামতের কাজ করিয়েছে, পূর্ব চুনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোন্তাকাটা বেগম নুরজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাওড়া চালিতাবুনিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য শাখারীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চুনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মধ্য শাখারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সন্তোষজনক কাজ করলেও আমতলী বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত কাজের পরিবর্তে বর্ষা মৌসুমে রংয়ের কাজ করায় বরাদ্দকৃত টাকা অপচয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পরিবর্তে অন্য অনেক জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে টাকাটা বরাদ্দ দেয়া যেত।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করে দেখেছি, তারা কাজ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনিয়ম

২৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ