রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য অফিস চলছে মাত্র দুইজন কর্মকর্তা নিয়ে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নেই সাত মাস। এই দীর্ঘ সময় অফিসটি চলছে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন ফিল্ড অফিসার দিয়ে। এতে করে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের কয়েকশত মৎস্যখামারি সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় কয়েকশত মৎস্যখামারি থাকলেও এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় ৫৬টি প্রকল্প এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০টি প্রকল্প চালু আছে। এই প্রকল্পের আওতায় খামারিদের সাইনবোর্ড, চুন, ইউরিয়া সার, টিএসপি সার, মাছের পোনা, খৈল, রাইস পোলিশ প্রদান করা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মৎস্যচাষি আব্দুল মতিন সিদ্দিকী বলেন, আমি একজন প্রকৃত মৎস্যচাষি, রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে আমাকে কোনো প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করা হয় না। কারা পায় কি পায় আমার জানা নেই।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর এলাকার তিস্তা মিশ্র মাছচাষি এরশাদ বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে এবছর একটি সাইনবোর্ড, ৩৩ কেজি চুন, ১০০ কেজি ইউরিয়া সার, ৫০ কেজি টিএসপি সার, ৩৫০টি মাছের পোনা, ১২০ কেজি খৈল, ৫৫ কেজি রাইস পোলিশ দেয়া হয়েছে। অপর এক মৎস্যচাষি মানিক মিয়া জানান, মৎস্য অফিস থেকে মাঝে মধ্যে আমাকে সহযোগিতা করা হলেও সবসময় তারা তদারকি করে না। হঠাৎ হঠাৎ খোঁজখবর নেন। তারা যদি নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিত তবে আমরা মাছ চাষে আরো বেশি সফলতা আনতে পারতাম।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের ফিল্ড অ্যাসিটেন্ট সোনিয়া আক্তার লিমা জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আমার ধান চাষের সাথে যৌথ মাছচাষের ১০টি প্রকল্প রয়েছে। আমার একার পক্ষে সবগুলো প্রকল্প পরিদর্শন করতে বেগ পেতে হয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদলি হয়ে যাওয়ার পর পদটির আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বারবার পত্র প্রেরণ এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বলার পরও কোনো কর্মকর্তা দেয়া হয়নি। তারপর এত বড় এড়িয়ায় আমরা দুই ব্যক্তি মৎস্যচাষিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সময়মতো প্রশিক্ষণসহ সকল উপকরণ বিতরণ করে আসছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।