ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টোল প্লাজায় ধীরগতির কারণে চার লেনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত যাত্রীরা। প্রতিদিনের ভোগান্তির শেষ নেই। গত বুধবার দেখা দেওয়া যানজট গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল। ভবেরচর থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি হাসানপুর পর্যন্ত যানজট রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের মাত্রাও বেড়েই চলছে। মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে একেবারেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
কয়েকদিনের টানা অবরোধে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মহাসড়ক। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় কুমিল্লা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোও ৮-৯ ঘণ্টা ধরে মদনপুরে আটকে থাকে। অনেক যাত্রী হতাশা হয়ে আবার কুমিল্লায় ফিরে আসে। মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন চালকেরা জানান, দুপুর ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে দুপুর ৪টা পর্যন্ত দাউদকান্দির টুলপ্লাজায় যানজটে আটকে আছেন। লাকসাম থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসের চালক রফিকুল ইসলাম ও হিমাচল বাসের চালক আক্তার হোসেন বলেন, তীব্র যানজটে আটকা পড়ে তিন কিলোমিটার পথ পেরোতে তিন ঘণ্টা লাগছে। অপর এক চালক জানান, আটটায় মহাসড়কের ভবেরচর এসে যানজটে আটকা পড়ে চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। কখন ঢাকায় পৌঁছতে পারব জানা নেই। অনেক পণ্যবাহী যানবাহন আটকে আছে মহাসড়কে। বিপদ তাদেরও। এমন একজন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নবাবপুরের পিকআপচালক আবদুল আহাদ। তিনি বলেন, নরসিংদী থেকে পোলট্রি মুরগি নিয়ে রওনা দিয়ে রাত আটটায় ঢাকার কাঁচপুরে যানজটে আটকা পড়ি। এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে সময় লেগেছে ১২ ঘণ্টা। নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পারায় গাড়িতে ২০টি মুরগি মারা গেছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশ রাত-দিন চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে রাতের চেয়ে যানজট কমে এসেছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে থেমে থেমে গাড়ী চলছে।