২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
এই অসুখটি খুবই মারাত্মক। শরীরের ধমনী এই অসুখে ফুলে যায় এবং নষ্ট হয়। তবে সব ধমনী এই রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। সাধারনত ছোট এবং মাঝারী ধরনের ধমনী এই অসুখে আক্রান্ত হয়।
ধমনীর কাজ হচ্ছে হৃদপিন্ড থেকে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে দেওয়া। তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ রক্ত। এই রক্তেই থাকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন। পলিআর্টেরাইটিস নোডোসা তে ধমনী ফুলে নষ্ট হয়ে যায়। কেন যে এ রোগ হয় তা অজানা। দেখা গেছে যে কোষ আমাদের প্রতিরক্ষা দেয় যে কোষই ধমনীকে আক্রমন করে বসে। সাধারণত বড়দের এ অসুখ বেশী হয়। বিভিন্ন টিস্যুতে রক্ত যেতে পারেনা ফলে টিস্যু বা কলা নষ্ট হয়। যারা হেপাটাইটিস বি বা সি তে আক্রান্ত তাদেরও এ রোগ হতে পারে।
এ অসুখের উপসর্গ হচ্ছে যেসব অঙ্গ আক্রান্ত হয় সেসব অঙ্গের ক্ষতিজনিত উপসর্গ। চর্ম, হৃদপিন্ড, কিডনী এবং স্নায়ুতন্ত্র এ অসুখে আক্রান্ত হয়। এছাড়া যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছে-
১। পেট ব্যথা, ২। দূর্বলতা, ৩। জ্বর, ৪। ক্লান্তিভাব, ৫। অস্তিসন্ধিতে ব্যথা, ৬। মাংপেশীতে ব্যথা, ৭। অরুচি, ৮। বমিভাব, ৯। বমি হওয়া, ১০। ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি
যদি স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয় তবে জ্বালাযন্ত্রনা এবং ব্যথা হয়। পলি আর্টেরাইটিস নোডেসা থেকে কিন্তু স্ট্রোক বা খিঁচুনিও হতে পারে।
এই রোগের ডায়াগনসিস একটু কঠিন। আর্টেরিওগ্রাম, সি রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন, কমপ্লিট বøাড কাউন্ট এবং বায়োপসি করে রোগ নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসা করা হয় স্টেরয়েড এবং যে সমস্ত ওষুধ আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দূর্বল করে সেসব দিয়ে। সাইক্লোফসফামাইড এ জাতীয় ওষুধ। যদি হেপাটাইটিসের কারণে এ রোগ হয় তবে প্লাজমাফেরেসিস এবং এন্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা হয়।
চিকিৎসা করলে রোগী দীর্ঘদিন ভাল থাকে। এই অসুখ খুব বিরল। আমাদের দেশে এ রোগ খুবই কম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।