গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবারও রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোতে গণপরিবহনের দেখা মিলেনি খুব একটা। রাস্তায় দুয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে নগরীর রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি।
মিরপুর-মতিঝিল, মোহাম্মদপুর-সায়েদাবাদ, উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী নিয়মিত বাসগুলো সড়কে প্রায় দেখাই যায়নি। সকালের দিকে দেখা যায়, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, রোকেয়া সরণি, প্রগতি সরণি, এয়ারপোর্ট রোডে গাড়ি নেই বল্লেই চলে। কয়েকটি বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যায় অত্যন্ত নগণ্য।
রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার যানবাহনগুলোও চলাচল করছে না বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে ছুটির পরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন। তারা রাস্তার পাশের ফুটপাথে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে দু’জন নিহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সাথে সাথে আহতদের কাছের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর ৯ দফা দাবিতে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।
গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়ে অফিসগামী যাত্রীরা। দুয়েকটি গাড়ি চলছে সড়কে। সেগুলোতে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে অনেক ঠেলাঠেলি করে অফিসগামীদের উঠতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।