Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করবে এনআরসি : মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) যেভাবে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে ৪০ লাখ মানুষকে বাস্তুহারা করা হচ্ছে তাতে দুদেশের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এর বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এই এনআরসি ইস্যু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে। মমতা বলেন, একজন মানুষ হিসেবে তিনি যে গৃহযুদ্ধ চান না সে কথাই বারবার বলতে চাইছেন। কেন তিনি এনআরসি ইস্যুতে এতটা সরব? এ প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য হলো, বাংলার পড়শি রাজ্য আসাম। সীমান্ত ভাগাভাগি আছে, ফলে আসামে কিছু হলে তার প্রভাব তো দিল্লিতে পড়বে না, বাংলাতেই পড়বে। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়াতে দোষের কিছু নেই। তার অভিযোগ, অনুপ্রবেশ যদি হয়েও থাকে তা বড়জোর ১ শতাংশ। তবে নাগরিকপঞ্জির নামে একেবারে ৪০ লাখ মানুষকে বাতিল করা হচ্ছে। তাহলে এই অনুপ্রবেশের দায় কে নেবে? সীমান্ত পাহারা দেয়া তো কেন্দ্রের কাজ। বিএসএফ তাহলে কী করছিল? পাল্টা প্রশ্ন তুলে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় তুললেন মমতা। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একটি বাংলা দৈনিক বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে মমতা। এর আগে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়েও যতবার বিতর্ক দেখা দিয়েছে ততবার নিজের বাধ্যবাধকতা ও অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো। প্রসঙ্গত, এনআরসি ইস্যুতে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করেছে আসাম সরকার। সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে চূড়ান্ত খসড়া নাগরিক তালিকা থেকে। তবে এই তালিকা এখনো সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। এতে যদি অর্ধেকও কম হয়, তারপরও প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ভারতীয় ওই দৈনিক প্রশ্ন তুলে বলেছে, যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন এককালে, তাদের কী এখন ফিরিয়ে নেবে সে দেশ? স্বভাবতই উত্তরটা ‘না’। সে কথা বুঝিয়েও দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জানানো হয়েছে, এটা ভারতের নিজস্ব সমস্যা। এ নিয়ে তাই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ। এ থেকেই স্পষ্ট যে ভারতের উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে না। তবে এই নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক যে নষ্ট হবে, এমনটাই আশঙ্কা মমতার। ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • Jack Ali ২ আগস্ট, ২০১৮, ১১:০৪ এএম says : 0
    The way bengali fights the pakistani same way bengali should fight indian aggression and oppression. India have wrapped us like a constrictor which attack his prey and devour completely. India have the audacity to oppress us due to a insider group. We want to live like a sovereign nation but unfortunately we become the slave of india, china and Burma. Bengali must rise up Bengali must rise for their sovereign right.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ