Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাতিয়ায় রাজীবকে দাফন করে মা ছুটলেন ঢাকায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৮, ৩:১৬ পিএম

স্বামী নূর ইসলাম দিনমজুর ছিলেন। চারটি সন্তান রেখে মারা গেছেন সেই কবে। থাকার ঘর নেই, একচিলতে জমি নেই, হাতে টাকা নেই। তবে মনোয়ারা বেগম দমে যাননি। ছেলে দুটিকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে লেখাপড়া শেখাচ্ছিলেন। এই মায়ের একটি ছেলে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। মৃত রাজীব ফিরে গেছে তার মায়ের কাছে।

রোববার রাজীব দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল; প্রথমে ঢাকায় তার খালাতো ভাইদের সঙ্গে, পরে হাতিয়ায়। রাজীবের খালাতো ভাই আবদুর রহমান জানান, তখনো তাঁরা জানতেন না রাজীব নেই। তারা আশকোনার বাসা থেকে বেরিয়ে কখনো গাড়িতে, কখনো পায়ে হেঁটে এগোচ্ছিলেন। অবরোধ শুরু হয়ে গেছে ততক্ষণে। কিসের অবরোধ, কেন, কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। আর অনবরত কলেজ থেকে দ্রুত পৌঁছাতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যখন পৌঁছালেন, তখন রাজীব আর নেই।

দুই ঈদে আর পরীক্ষা শেষে ছুটিতে রাজীব বাড়ি যেত। এবার সে পৌঁছেছে প্রায় এক মাস আগেই। বরাবরের মতোই মা মনোয়ারা বেগম ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে এই অপেক্ষা ছিল দমবন্ধকর।

আবদুর রহমান বলেন, রাত আটটার দিকে লাশ বরফে মুড়ে লাশবাহী গাড়িতে করে তারা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাটে পৌঁছান। আবার বরফ দিয়ে নৌকায় করে নেওয়া হয় হাতিয়ার চৌমুহনীতে। হাতিয়ায় নানার কবরের পাশে জায়গা হয়েছে রাজীবের।

ছেলেকে দাফন করে কাল সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগম রওনা দিয়েছেন হাতিয়া থেকে। যে ঘরে ছেলে থাকত, সে ঘরে এসে ছেলের স্মৃতি খুঁজবেন বলে এত দূর পথ পাড়ি দেওয়া তার।া

হাতিয়ায় রাজীবকে দাফন করে মা ছুটলেন ঢাকায়
ইনকিলাব ডেস্ক : স্বামী নূর ইসলাম দিনমজুর ছিলেন। চারটি সন্তান রেখে মারা গেছেন সেই কবে। থাকার ঘর নেই, একচিলতে জমি নেই, হাতে টাকা নেই। তবে মনোয়ারা বেগম দমে যাননি। ছেলে দুটিকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে লেখাপড়া শেখাচ্ছিলেন। এই মায়ের একটি ছেলে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। মৃত রাজীব ফিরে গেছে তার মায়ের কাছে।

রোববার রাজীব দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল; প্রথমে ঢাকায় তার খালাতো ভাইদের সঙ্গে, পরে হাতিয়ায়। রাজীবের খালাতো ভাই আবদুর রহমান জানান, তখনো তাঁরা জানতেন না রাজীব নেই। তারা আশকোনার বাসা থেকে বেরিয়ে কখনো গাড়িতে, কখনো পায়ে হেঁটে এগোচ্ছিলেন। অবরোধ শুরু হয়ে গেছে ততক্ষণে। কিসের অবরোধ, কেন, কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। আর অনবরত কলেজ থেকে দ্রুত পৌঁছাতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যখন পৌঁছালেন, তখন রাজীব আর নেই।

দুই ঈদে আর পরীক্ষা শেষে ছুটিতে রাজীব বাড়ি যেত। এবার সে পৌঁছেছে প্রায় এক মাস আগেই। বরাবরের মতোই মা মনোয়ারা বেগম ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে এই অপেক্ষা ছিল দমবন্ধকর।

আবদুর রহমান বলেন, রাত আটটার দিকে লাশ বরফে মুড়ে লাশবাহী গাড়িতে করে তারা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাটে পৌঁছান। আবার বরফ দিয়ে নৌকায় করে নেওয়া হয় হাতিয়ার চৌমুহনীতে। হাতিয়ায় নানার কবরের পাশে জায়গা হয়েছে রাজীবের।

ছেলেকে দাফন করে কাল সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগম রওনা দিয়েছেন হাতিয়া থেকে। যে ঘরে ছেলে থাকত, সে ঘরে এসে ছেলের স্মৃতি খুঁজবেন বলে এত দূর পথ পাড়ি দেওয়া তার।



 

Show all comments
  • Moni biswas ১ আগস্ট, ২০১৮, ৫:২১ পিএম says : 0
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেনso sad
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাসচাপায় শিক্ষার্থী খুন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ