পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে খাদ্য-ওষুধ সরবরাহ এবং স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঘুষসহ বিভিন্ন স্তরে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কয়েদিদের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ অভিযান চালানা হয়। দুদক অভিযোগকেন্দ্রে আসা অভিযোগের ওপর ভিত্তিতে সংস্থাটির উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশসহ ৯ সদস্যের একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়।
দুদক টিম কারাগারের ভেতরে ঢুকে হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এ ছাড়া কয়েদিদের মাধ্যমে প্রস্তুত পোশাক ও তৈজসপত্র উৎপাদন ব্যবস্থা পরিদর্শন করে দুদক টিম।
কারাগারের খাদ্য প্রস্তুতকরণ, রান্না ও সরবরাহ ব্যবস্থা পরিদর্শন করে দুদক টিম ব্যাপক অনিয়মের সন্ধান পায়। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেয়া হয়, দর্শনার্থীদের এরূপ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে দুদক টিম। দুদক টিম দর্শনার্থীদের প্রবেশ, সাক্ষাৎকার ও কথোপকথন সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এতে দেখা যায়, ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। কয়েদিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎকার স্থলে স্থান সঙ্কুলান হয় না এবং প্রচন্ড শব্দের ফলে দর্শনার্থীরা কিছুই শুনতে পান না। দুদক টিম কারারক্ষীদের ডিউটি বণ্টন রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করেন, তাতে দেখা যায়, কারাবন্দিরা কারাগারে প্রবেশকালে চেক-ইন ব্যবস্থায় । ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। একটি স্ক্যানিং মেশিন থাকলেও সেটি দীর্ঘকাল যাবত অচল রয়েছে। এমন নানা অনিয়ম ও সমস্যা দূরীকরণে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দুদক টিম কারা প্রশাসনকে পরামর্শ দেন। দুদকের পক্ষ হতে দর্শনার্থীদের মধ্যে সচেতনতার জন্য দুর্নীতিবিরোধী পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং মাইকিং করে দুর্নীতি-সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ দুদক হটলাইনে জানানোর জন্য বলা হয়।
এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, কারা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম আছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। কর্তৃপক্ষকে সংশোধনের সময় দেয়া হয়েছে, নতুবা দুদক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।