Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বড়পুকুরিয়া চালু হবে সেপ্টেম্বরে : সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

খনি থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল করতে কয়লা আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। সেপ্টেম্বরের শুরুতে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোদমে চালু হবে। ঈদের সময় উত্তরবঙ্গে বিদ্যুতের ঘাটতি আর থাকবে না।
গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ খাতের প্রশিক্ষণ নীতিমালা চূড়ান্তকরণের এর উপর কর্মশালা এবং নেট মিটারিং নির্দেশিকা ২০১৮এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব। অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত কয়লার মজুত রয়েছে। বড়পুকুরিয়া সচল করতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করা হবে। আমরা সেউ প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
সচিব বলেন, প্রয়োজনবোধে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমরা কয়লা আমদানি করে রাখার পরিকল্পনা করছি। আমদানির বিষয়টি পর্যালোচনা করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লার উপর ভিত্তি করে চলছিল ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। খনি থেকে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সবকটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে উত্তরাঞ্চলে। সিরাজগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে সেখানে সরবরাহ বাড়ালেও সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়নি। সচিব বলেন, ঈদের সময়ে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে চার/পাঁচদিন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার মতো কয়লা রেখেই আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছিলাম।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১০০ টান করে কয়লা সরবরাহ শুরু করেছে খনি কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালাতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দরকার। খনির নতুন ফেজ থেকে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে এক থেকে দেড়মাস লেগে যাবে।
বিদ্যুৎ সচিব আরো বলেন, বড় পুকুরিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ীই আমরা কয়লা আনবো। প্রাথমিকভাবে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোকে লক্ষ্য রেখে সেখানে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে কয়লা আনা যাবে, তা জানাতে পারেননি। বড়পুকুরিয়া খনির এই কয়লা ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে বড়পুকুরিয়া খনির এই কয়লা ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিশ্বের যেসব খনিতে উন্নতমানের কয়লা পাওয়া যায় তার মধ্যে দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া অন্যতম। এই কয়লায় সালফার রয়েছে দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ছাইয়ের পরিমাণ ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সচিব বলেন, যেখান থেকেই আনি উন্নত মানের আনা হবে। আমরা স্পেসিফিকেশনে একটু ছাড় দেব না। স্পেসিফিকশনে ছাড় দিলে আমরা ভারতের ধামরা থেকে খুব তাড়াতাড়ি কয়লা নিয়ে আসতে পারতাম। এদিকে ২৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে খনি কর্তৃপক্ষ। রংপুর অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যতটা খারাপ ভাবা হচ্ছে ততটা খারাপ নয়। আহমদ কায়কাউস বলেন, পিক আওয়ারে সামান্য বিভ্রাট হচ্ছে, এক থেকে দেড় ঘণ্টা। সেটা আমরা সামলিয়ে ফেলেছি ইনশাল্লাহ। ওই রিজিওনে ভোল্টেজে একটু সমস্যা হচ্ছে।
রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রতিদিন ৬৫০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এর বেশিরভাগই আসত বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এর বাইরে রংপুর ও সৈয়দপুরে ২০ মেগাওয়াট করে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তেলভিত্তিক দুটি ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের কেন্দ্রগুলো থেকে রংপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সচিব বলেন, তীব্র গরম পড়লে পিক আওয়ারে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সমস্যা হচ্ছে। গরম তীব্র না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিকই থাকছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কয়লা

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ