পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জ্বালানী ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্রোবাংলা ও পিডিবি’র চেয়ারম্যানসহ ৪ সদস্যের বিশেষ টিম। গতকাল শুক্রবার সকালে বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় ৪ সদস্যের এই উচ্চ পর্যায়ের টিমটি পরিদর্শন শেষে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ্ সাংবাদিকদের জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে এবং কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কোয়াস বলেন, বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা চুরি ও কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি বৈঠক করেছেন। এরপর তারা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ সচিব জানান, লোড ব্যালেন্সের সমস্যা হলেও বিদ্যুতের তেমন ঘাটতি নেই। তাছাড়া সিরাজগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমানো হয়েছে। একই সাথে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো: ফয়জুল্লাহ জানান, যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্রুত কয়লা উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই খনির উত্তোলন শুরু হবে।
অপরদিকে জ্বালানী সচিব আবু হেনা মো: রহমতুল্লা মুনিম বলেন খনিতে কয়লা ঘাটতির ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সিস্টেম লসের দাবিটি বিশ্বাস করা হচ্ছে না তবে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। কয়লা ঘাটতির দায়-দায়িত্ব কর্মকর্তাদের তারা কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেননা। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি আরও জানান, বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে পারে, আর এই স্বার্থে আগামী ঈদে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটি পালন না করার কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলনকৃত কয়লার মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কাগজ কলমে এক লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে মাত্র ৩ হাজার টন। এই ঘটনায় গত ১৯ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন ও সচিব আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে প্রত্যাহার করে খনিটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। একই কারণে খনির মহা-ব্যবস্থাপক (মাইনিং এন্ড অপরেশন) এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। এ ব্যাপারে ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।