রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোলার বোরহানউদ্দিনের ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকটের কারণে অধরা প্রায় আড়াই লাখ লোকের স্বাস্থ্য সেবা। গড়ে প্রতিদিন তিনজন ডাক্তারের সেবাও পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। জনবল কাঠামো অনুযায়ী হাসপাতালে ২১ জন ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ৯ জনসহ মোট ৩০ জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা। ইউনিয়ন পর্যায়সহ হাসপাতালে কাগজে-কলমে ১০ জন ডাক্তার কর্মরত। কিন্তু বাস্তবে আছেন ৫ জন। ডা. নিরুপম সরকার ও তিশাদুর রহমান বাপ্পি ভোলা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে। ডা. মোমিনুল ইসলাম তজুমদ্দিন উপজেলা হাসপাতালে প্রেষণে কর্মরত। ডা. খাদিজা নাজনিন ও ডা. মাহফুজুর রহমান ২০১৪ সালে যোগদান করে নৈমত্তিক ছুটি নিয়ে এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। তার উপর প্রতি সপ্তাহে কোন কোন ডাক্তার ট্রেনিং অথবা নৈমত্তিক ছুটিতে থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সপ্তাহের বেশীর ভাগ সময় ঢাকা, বরিশাল, ভোলা সদরে বিভিন্ন মিটিংয়ে সময় দিতে হয়। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মশালা। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাসারের ১১ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১ জন। পাশাপাশি প্রায় ৬ বছর আগে পাওয়া এক্স-রে মেশিন রেডিওগ্রাফারের অভাবে কোন সেবা দেয়ার আগেই মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। প্যাথলজিক্যাল ল্যাব তিনজনের স্থলে একজন জনবল দিয়ে কোন রকমে খুঁড়িয়ে চলছে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে একজন রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাই ‘ডাক্তারদের নৈমত্তিক ছুটি কত দিনে শেষ’ হয়।
সরেজমিনে আউটডোরে ১০৩ নাম্বার কক্ষে ডা. মারুফা শাহরিন ও ইমার্জেন্সিতে ডা. তায়েবুর রহমানকে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে। ডা. তায়েবুর রহমানকে সহায়তা করছেন, একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ডিএমএফ (ডিপ্লোমা অফ স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি)-এর ইন্টার্নি করতে আসা শিক্ষার্থী মো. বোরহান ও অফিস সহায়ক মো. জাহিদ। ডা. মারুফার কক্ষে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। এছাড়া রোগী সামলাতে ২০৯ নাম্বার কক্ষে নাইট শিফটে ডিউটি করার পরও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবুল কালাম আজাদকে ব্যবস্থাপত্র দিতে দেখা যায়। ডা. সালাউদ্দিন আছেন ছুটিতে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভোলা সদরে কোর্টে হাজিরা বেলা ১২ টায় এসে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন
হাসপাতালে আসা রোগী জোসনা বেগম, আবুল কাশেম, ফরিদুর রহমানসহ আরো অনেকে এমবিবিএস ডাক্তার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। জোসনা বেগম রোগীর জন্য কাটা টিকেট ছুড়ে ফেলে চলে যান। তারা অভিযোগ করেন, ডাক্তারগণ কর্মস্থলে থেকেও আউটডোর ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না। তারা পাশের ময়লার স্তুপের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, হাসপাতালে রোগী আসে সুস্থ হতে, এখানকার পরিবেশে সুস্থ লোকও অসুস্থ হয়ে যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জহিরুল ইসলাম শাহিন জানান, সীমিত জনবল দিয়ে তারা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ না দিলে রোগীদেও সেবা দেয়া আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মত প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।