পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নড়িয়া সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দুরের গ্রাম কাঞ্চনপাড়া। বড়ই দুর্গম এলাকা। এ গ্রামের মরিয়ম বেগম (৫০) উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছিলেন। ভ্রাম্যমান মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে গতকাল সকালে ফোন করেন। এক ঘন্টার আগেই দুর্গম গ্রামে ছুটে যায় ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’ স্লোগান নিয়ে করোনা দুর্যোগে ঘরবন্দি মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকারী ডাক্তার ও সেবিকার দল। চিকিৎসক ডা. শওকত হোসেন ওই রোগীর পেশার মেপে দেখেন উপরে ২২০ এবং নীচে ১১০। পেশার মাপার সময় মাথা ঘুরে পরে যান মরিয়ত বেগম। তাৎক্ষনিক ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর ওই গ্রামের আরো কিছু রোগী দেখেন তারা। একই গ্রামের শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন শিশু আরাফাত হোসেন। শহরে নিয়ে যাবে চিকিৎসার জন্য। সে সামর্থ নেই শিশুটির বাবার। গ্রামে ডাক্তার এসেছেন লোক মুখে খবর পেয়েই ছুটে আসেন। ডাক্তাররা দেখেই লেবুলাইজেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাঞ্চনপাড়া থেকে শুরু করে বিজারি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে ২ রোগীর এভাবেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’ ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম। এই টিমের উদ্যোক্তা শরিয়তপুর-২ আসনের এমপি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। করোনা ও লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গত ৮ এপ্রিল তিনি নির্বাচনী এলাকার সখিপুর ও নড়িয়া উপজেলার জন্য ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবা চালু করেন। গত বছর করোনার সময়ও তিনি দুটি টিম গঠন করেছিলেন। এবার প্রাথমিকভাবে একটি এ্যাম্বুলেন্সে সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবায় দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরগুলো (০১৭৮৮৭৩৬১৫১, ০১৯১৭৭৭৭২৬৪ ও ০১৭১৮৩৪৫৭৮৮) দিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার করা হচ্ছে। রোগীরা ওই নম্বরে কল করে সমস্যার কথা জানালে চিকিৎসকরা সেখানে পৌঁছে যাবেন। প্রতিটি ইউনিয়নেই পর্যায়ক্রমে এই চিকিৎসক টিম যাবে। সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবে এই চিকিৎসকরা। দুজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও দুইজন স্বা¯’্যকর্মীর দল এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে ডা. শওকত আলী বলেন, স্থানীয় এমপি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম মানুষের কথা চিন্তা করে মেডিকেল টিম গঠন করে দিয়েছেন। আমরা ফোন পেলেই ছুটে যাই। বিনামুল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। গতকালও প্রায় দুইশ রোগীকে সেবা দিয়েছি। এমন সব এলাকায় আমরা সেবা দিচ্ছি যেখানে এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া যায় না বা রোগীদের পক্ষেও শহরে আসা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে মূল উদ্যোক্তা শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, করোনায় মানুষ অনেকেই ঘরবন্দী। আবার কেউ কেউ উপজেলা সদরে আসতেও চায় না। কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেজন্য ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবা চালু করেছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই চিকিৎসা সেবা চলমান থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।