রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নেছারাবাদ উপজেলার দেবীদাসকাঠি পিএসডি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্জন কক্ষে অত্যন্ত গোপনে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চার লাখ টাকা লেনদেন এর বিনিময় প্রেমচাঁদ বিশ্বাস নামের একজনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নিয়োগ বোর্ড। শংকর মজুমদার,সাইদুল ইসলাম খন্দকার ও দিপংকর মৃধা নামে তিনজন ঢামী প্রার্থী সেট করে রাতের বেলায় পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রেমচাঁদ বিশ্বাসকে প্রথম বানায় নিয়োগ বোর্ড। বিকেল তিনটায় নিয়োগ পরীক্ষার সময় নির্ধারিত থাকলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাহাংগীর হোসেন। রাতে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার কারন জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাংগীর হোসেন বলেন ডিজির নমিনি (পিরোজপুর জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.জসিম উদ্দিন মাঝি) আসতে দেরী হওয়ায় পরীক্ষা আরম্ভ করতে একটু দেরী হয়েছে। তবে তিনি পরীক্ষা নিতে ততটা ইচ্ছুক ছিলেন না। তিনি বলেন পারিপার্শ্বিক কারনে ( আকার ইঙ্গতে উচ্চ পর্যায়ের কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তির পছন্দের জন্য) তাকে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.মোস্তফা ( কৃষক ও নিরক্ষর ব্যাক্তি) বলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌলভী ওমর ফারুক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুরো নিয়োগ পরীক্ষার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। মোস্তফা বলেন স্কুলে হেড মাস্টার নিয়োগ দিতে হবে বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌলভী ওমর ফারুক তাকে শুধু অফিসে আসতে বলেছেন। তিনি জানান মৌলভী ওমর ফারুক তাদের স্কুলটি চালায় বলে তার কথায় তিনি এখানে এসেছেন এর চেয়ে বেশী কিছু তিনি জানেন না।
ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. এমাম শেখ ও নুরুজ্জামান শেখ অভিযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় জামায়াত নেতা মৌলভী ওমর ফারুক এ বিদ্যালয়টিকে নিজের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করেন। এমাম বলেন এর পুর্বেও অন্য একজনকে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ওমর ফারুক এক লাখ টাকা নিয়ে পরে সে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এবারেরও ওমর ফারুক চার লাখ টাকা নিয়ে প্রেমচাদকে নিয়োগ দিচ্ছে বলে টিপিওকে তিনি ফোন করে অভিযোগ করেও কোন ফল হয়নি। নুরুজ্জামান শেখ অভিযোগ করেন নিয়োগ দেয়া প্রেমচাদের সাথে ওমর ফারুকের চার লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবী করেন। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. শাহ আলম বলেন তিনিসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রিনা বেগম, ওয়াজেদ শেখকে না জানিয়ে মৌ, ওমর ফারুক টাকা খাওয়ার জন্য গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌলভী ওমর ফারুক বলেন সামান্য অফিসিয়াল খরচ বাদে কোন টাকা নেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।