Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলন

বিনাধান-১৯

গোপালগঞ্জ থেকে মোঃ অহেদুল হক : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

দুই জেলায় পরীক্ষামূলক আবাদে খরা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের জাত বিনাধান-১৯ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলন দিয়েছে। গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত এ জাতের ধান প্রতি হেক্টরে ৫.৭০ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছে। এ জাতের ধান প্রতি হেক্টরে ৩.৮৪ মেঃ টন থেকে ৫ মেঃ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম বলে বিনা জানিয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জে প্রত্যাশার চেয়েও .৭০ মেট্রিক বেশি ফলন দিয়েছে এ জাতের ধান। গত মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সূচীডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সুবল কীর্ত্তনীয়ার জমিতে উৎপাদিত বিনা ১৯ জাতের ধান কেটে পরিমাপ করে মাঠ দিবস থেকে বিনার বিজ্ঞানী ও কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। এ জাতের ধান চাষে সেচ খুব কম লাগে। সার ও কীটনাশক সাশ্রয় হয়। খরা সহিষ্ণু স্বল্প জীবনকালের এ ধান পরিবর্তিত জলবায়ূ মোকাবেলা করে বাম্পার ফলন দিয়েছে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি আউশ মৌসুমে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার ১০ একর জমিতে ৩০টি প্রদর্শনী প্লটে প্রথমবারের মতো এ ধানের আবাদ করে কৃষক। প্রথমবার আবাদ করেই ২ জেলার কৃষক বাজিমাত করেছেন। সূচীডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সুবল কীর্ত্তনীয়া বলেন, বিনা উপকেন্দ্র আমাকে বীজ, সার, কীটনাশ বিনামূল্যে দিয়েছে। তাদের পরামর্শে এ জাতের ধান চাষে সেচসহ অন্যান্য খরচ খুবই কম লাগেছে। গাছ হেলে পড়েনা। প্রচলিত আউশ ধানের তুলনায় এ ধান অনেকগুন বেশি ফলন দিয়েছে। এ জাতের ধান সরু। তাই বাজারে বেশি দাম পেয়ে আমি আরো বেশি লাভবান হবো বলে আশা করছি।
গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শেফাউর রহমান বলেন, আগামীতে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জলাবায়ূ পরিবর্তনের ঝুকি মোকবেলা করা। সে জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছেন। খরা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের জাত বিনাধান-১৯ আবাদ করে কৃষক প্রত্যাশা ছাপিয়ে ফলন পেয়েছে।
বিনা ধান ১৯ এর উদ্ভাবক কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধান চষে পানির অবচয় রোধ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। তাই কম সেচে আউশ মৌসুমের এ ধানের আবাদ সম্প্রসারণ করতে হবে। আমাদের উদ্ভাবিত খরা সহিষ্ণু স্বল্প জীবনকালের এ ধান পরিবর্তিত জলবায়ূ মোকাবেলা করে কৃষককে বাম্পার ফলন দিতে সক্ষম।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত পরিচালক কিংকর চন্দ্র দাস বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হয়। এতে প্রচুর পরিমানে পানির অবচয় হয়। ফলে পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আশার আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ রক্ষা ও জলাবায়ূর ঝুকি মোকাবেলায় পানি সাশ্রয়ী আউশ ও আমন মৌসুমের বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ সম্প্রসারিত করতে সরকার কৃষককে উদ্ধুদ্ধ করছে। বিনা ১৯ জাতের ধান পরিবেশ বান্ধব। এ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফলন

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩
২৬ নভেম্বর, ২০২২
৬ ডিসেম্বর, ২০২১
৩০ নভেম্বর, ২০২১
১৩ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ