Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরালো করুন

সেনা নিপীড়নের পুনরাবৃত্তি হবে না, নিশ্চয়তা চায় জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ জোরালো করতে মিয়ানামারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রোহিঙ্গা নিধনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের অপরিহার্যতাও তুলে ধরা হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি বিতাড়িত ব্যক্তিদের রাখাইন রাজ্যের নিজ ভূমিতে ফেরাতে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, আগামীতে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নিপীড়নের পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে নিশ্চয়তা চায় জাতিসংঘ। রাখাইন থেকে সংঘাতের মুখে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য সামাজিক-অর্থনৈতিকসহ সব বিষয়ে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক-পরবর্তী এক বিবৃতিতে এই আহŸান জানানো হয়। এতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পাদিত চুক্তির বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন সংস্থা ও মিয়ানমারের সম্পর্ক উন্নয়নেরও তাগিদ দেওয়া হয়। আগামীতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপরে সেনা নিপীড়নের ঘটনা ঘটবে না, এ ব্যাপারেও নিশ্চয়তার কথা বলা হয় বিবৃতিতে। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শ্রেনার বার্গেনার রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুটি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের নেতারা চান রোহিঙ্গারা পুনরায় রাখাইনে ফিরে যাক। কিন্তু সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের দ্ব›েদ্বর কারণে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। এ ছাড়া রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের ওপর পুনরায় জোর দেওয়া হয়। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারকে কঠিন চাপের মুখে রাখতে চাইলেও মিয়ানমারের মিত্র চীনের আপত্তির মুখে বিভিন্ন সময় সে উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় চীনকে কার্যকরী ভূমিকায় আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে একমত হন বৈঠকে উপস্থিত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। এদিকে, এ বিবৃতির বেশির ভাগটাই মিথ্যা অভিযোগপ্রসূত বলে সমালোচনা করেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাও দু সুয়ান। তিনি বলেন, রাখাইন সমস্যা মোকাবিলায় মিয়ানমার সরকারের অবস্থান চিহ্নিত করতে এটি ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি অলোফ স্কুগ বলেন, সবশেষ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আলোচনা করেছেন। রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত বলেন, সংকট নিরসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ক্রিস্টিন বার্গনার বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে শুধু ফিরিয়ে নেয়াই নয় পাশাপাশি তাদের পরিবার গুলোকে একত্রীকরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে আমরা খোলাখুলি ও গঠনমূলক আলোচনা করেছি। এর আগে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত ধর্ষণ, হত্যা নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী প্রতিনিধি। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ