Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাবিতে বিদ্যুত বিভ্রাটে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি

জাবি রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লুকোচুরিতে গ্রীষ্মের এই তাপদাহের প্রচÐ গরমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও ঠিকমত কাজ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। স্বারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জ্ঞান চর্চার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। এমনকি রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্লাসগুলো মাল্টিমিডিয়া সম্পন্ন, ল্যাবগুলোতে বিদ্যুৎ বিহীন গবেষণা করা সম্ভব নয়, এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা জরুরি।’
স্বারকলিপিতে তারা আরো উল্লেখ করেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট, সরকারি মন্ত্রী ও আমলাদের বাসভবনের মতো অনুৎপাদনশীল জায়গায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞান উৎপাদনের জায়গা সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকা বাঞ্চনীয়।’ এছাড়া স্বারকলিপিতে তারা অবিলম্বে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়কে লাইট না থাকায় শিক্ষার্থীরা বেশ বিপাকের সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে দ্রæতসময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত লাইটিং-এর ব্যবস্থারও দাবি জানানো হয়।
এসময় ভিসি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা আজকেই পল্লী বিদ্যুৎ-এর জিএম এর সাথে বসব এবং দ্রæততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো। আর সড়কে পর্যাপ্ত লাইটিং-এর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে ২৮ জুলাই ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের স্বার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদী চুক্তি হয়। এর আওতায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২.০৪ শতাংশ জমির ওপর পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ২৫ এমভিএ ৩৩.১১ কেভি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ এই উপকেন্দ্রের ৬টি ফিডারের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে ১টি ফিডার দিয়ে ক্যাম্পাসে ও বাকি ৫টি দিয়ে আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছেনা।
এসব বিষয়ে সাভার এরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইদানীং বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেছে। ঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ে যাওয়ায় অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। অনেক সময় বজ্রপাত খুব বেশি হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাবি

২১ ডিসেম্বর, ২০২২
১৪ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ