পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ৭২ কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ শীর্ষ কর্মকর্তারা। চলতি বছরের শুরুতে আপিল বিভাগের এক আদেশে অধিদফতরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
স¤প্রতি ওই আদেশ উপেক্ষা করে প্রকল্পের ৩৩৪ প্রকৌশলী ও সুপারভাইজারের মধ্য থেকে মাত্র ২২ শতাংশ অর্থাৎ ৭২ জনকে রাজস্ব খাতে আত্মীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে অবশিষ্টদের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। যা সরকারের শেষ বছরে প্রকল্প বাস্তাবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পদ বঞ্চিত প্রকৌশলী ও সুপারভাইজারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী ও সচিবকে লিখিত আবেদন করেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: রিয়াজ আহম্মদ ইনকিলাবকে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে পরে বিবেচনা করা হবে। টাকার বিনিময় এদের রাজস্ব খাতে নেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবারে ডিজি বলেন, এখনে কোন টাকা নেয়া হয়নি। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, কোন প্রকল্প চলমান থাকাকালে প্রকল্পের কর্মকতাদের রাজস্ব খাতে নেয়ার বিধান নাই। কারণ তারা রাজস্ব খাতে আসতে পারে না। তিনি আরো বলেন, এসব প্রকৌশলী ও সুপারভাইজারা যোগ্যতা সম্পুন নয়। তারপর তাদের কাছে কোটি কোটি টাকা নিয়ে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা যোগদান করলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিবেশ নষ্ট করবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অপারেশন সাপোর্ট টু দ্যা এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেষ্ট (ইজিপিপি) শীর্ষক প্রকল্পের কর্মরত ৩৩৪ প্রকৌশলীকে প্রায় তিন বছর আগে স্ট্রেন্থেনিং অফ দ্যা মিনিস্টি অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিলিফ প্রোগ্রামস অ্যাডমিনিস্টেশন (এসএমওডিএমআরপিএ) প্রকল্পে আত্মীকরণ করে অধিদফতর। পরে তাদের সাথে আরো প্রায় দেড়শ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারের দেশব্যাপী চলামন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিরাট অংশের তদারকির দায়িত্বই তারা মাঠ পর্যায়ে পালন করে আসছেন।
প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান ইনকিলাবকে জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একজন করে প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তা থাকার কথা। অনেক স্থানেই তা নেই। ফলে রাত দিন পরিশ্রম করে প্রকল্পের এসব কর্মকর্তা কর্মচারিরা সরকারের উন্নয়নকে গতিশীল রাখছেন। কিন্তু আদালতের আদেশ থাকার পরও কিছু লোককে নিয়োগ দিয়ে অন্যদের মনবল ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। মূল প্রকল্প অপারেশন সাপোর্ট টু দ্যা এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেষ্ট-এর প্রকৌশলীরা রাজস্ব পদে আত্মীকরণের দাবিতে বেশ কয়েকটি মামলা করলেও একটি মামলার রায় নিয়ে অন্য মামলার তথ্য আড়াল করে নিয়োগকে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন তারা।
এসএমওডিএমআরপিএ প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার প্রায় সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বাজেটে গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে যে বরাদ্দ রেখে তার সুষ্ঠু তদারকির দায়িত্ব মাঠ পর্যায়ের তাদের ওপরই ন্যস্ত থাকছে। ফলে কিছু প্রকৌশলীকে প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তার স্থায়ী পদে দায়িত্ব দিলে অন্যদের মনবল খুব স্বাভাবিক কারণেই ভেঙ্গে যাবে। যার ফলশ্রæতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকন্ড ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
অধিদফতর প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রকল্পের মাত্র ২২ শতাংশ প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রির দফতর অবহিত নয়। ফলে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হলেও এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে রাজস্ব পদে যোগদানপত্র হস্তান্তর পর্ব। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাত্র ২২ শতাংশ কর্মকর্তাকে রাজস্ব পদে আত্মীকরণ করে অন্যদের বঞ্চিত রেখে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রও হতে পরে এই প্রজ্ঞাপন। তাই ৭২ জনের যোগদানপত্র দেয়া বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।