Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীর প্রতিবেদন, ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কাশ্মীরে খারাপ মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রতিবেদন নিয়ে ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ। আর বিশ্বসংস্থার অবস্থানকে সমর্থন করেছে পাকিস্তান। গত মাসে জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় ভারত-নিয়ন্ত্রণ কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টির ওপর। এতে অভিযোগ করা হয়, ভারতীয় সৈন্যরা ১৪৫টি অবৈধ হত্যার জন্য দায়ী। আজাদ কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি অন্য মাত্রার মানবাধিকার লঙ্ঘন। ভারত এই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে অভিহিত করে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটিকে ‘প্রতারণাপূর্ণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে অভিহিত করে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করে। এতে আরো বলা হয়, এই প্রতিবেদন ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখÐতাকে লঙ্ঘন করেছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ শিশু ও সশস্ত্র সঙ্ঘাতবিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে প্রতিবেদনটি আবারো ওঠে আসে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধি বিষয়টি উত্থাপন করেন। এনডিটিভি অনুযায়ী, জাতিসংঘে ভারতের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি তন্ময় লাল পাল্টা আঘাত হেনে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘তথাকথিত’ প্রতিবেদনটি সুস্পষ্টভাবে এক কর্মকর্তার পক্ষপাতদূষ্ট মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা কোনো ধরনের ইখতিয়ার ছাড়াই কাজটি করেছেন এবং অনির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। মঙ্গলবার মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনার প্রতিবেদনটি নিয়ে ভারতের অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ে ওই অঞ্চলে জাতিসংঘ দলকে শর্তহীনভাবে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় দূর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানায়, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে ভারতের অনেক মিডিয়া একে পাকিস্তানি প্রতিবেদন, প্রতারণাপূর্ণ, ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে আসছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদনটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে যে অভিযোগ করেছে তা অত্যন্ত হতাশাজনক। জাতিসংঘ প্রেস বিজ্ঞপিতে বলা হয়, প্রতিবেদনে যেসব সূত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ৩৮৮টি পাদটিকা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব সূত্রের মধ্যে লোকসভা ও রাজ্যসভায় উত্থাপিত সরকারি তথ্যও রয়েছে। তাছাড়া ভারতের সুপ্রিম কোর্ট, জম্মু ও কাশ্মীর মানবাধিকার সংস্থা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সেনাপ্রধান, এমনকি এক সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতির বক্তব্যও ব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল বুধবার আবারো জাতিসংঘ প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উত্থাপিত মারাত্মক অভিযোগগুলো সমাধান করতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য জাতিসংঘ প্রস্তাবিত তদন্ত কমিশন গঠনকে পাকিস্তান স্বাগত জানায়। তবে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ