ভারতে ২ সন্তানের মা এক নারীকে গণধর্ষণের পর মন্দিরের যজ্ঞশালায় পুড়িয়ে হত্যা করেছে নরপশুরা। হত্যার আগে মোবাইল ফোনে পুলিশের জরুরি সেবার নির্ধারিত নম্বরে সাহায্যের জন্যে ফোন করেও কোনো সাড়া পাননি ওই হতভাগিনী নারী। ৫ ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। গত শনিবার ভোরে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলার রাজপুরা থানার এক গ্রামে।
নিহত নারীর স্বামী গাজিয়াবাদের শ্রমিক জানান, শনিবার রাত আড়াইটায় এ পাশবিক ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ৫ ব্যক্তি এক এক করে বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারপর বেরিয়ে যায়। পরে ফের ফিরে এসে তারা তার স্ত্রীকে জোর করে টেনে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক মন্দিরে। সেখানে যজ্ঞশালায় তাকে পুড়িয়ে মারা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদদাতা জানান, গৃহবধূর স্বামী জানান, তার স্ত্রী মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে বাঁচার জন্য পুলিশের জরুরি সেবা নম্বরে সাহায্য চান। কি›তু কেউই সাড়া দেয়নি। সে আমাকে ও তার ভাইকেও ফোনে পায়নি। তারপর সে তার চাচাতো ভাইকে পুরো ঘটনা জানায়। কিন্তু স্ত্রীর সে ভাই পুলিশ ও পরিবারের অন্যান্যদের জানানোর আগেই ধর্ষকদল ফিরে আসে ও তাকে টেনে যজ্ঞশালায় নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
তিনি আরো জানান, ধর্ষকরা সবাই একই গ্রামের অধিবাসী। তারা কয়েক মাস ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছিল।
পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে আসে। সেই পরিবারকে এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়। আশ্বাস দেওয়া হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেছেন। তিনি আরো বলেন, নিহত নারী তার চাচাতো ভাইয়ের নম্বরে যে কথা বলেছিল তা উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে সে পাঁচ অপরাধীর নাম উল্লেখ করেছে। তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।