মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভুটানে সেচের পানির জন্য এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটতে হচ্ছে চাষীদের। গত ১১ জুলাই কাগলুং এলাকার পাংথাং গ্রামের চাষী কারমা গ্যালি থারাগুম গ্রামের মানুষের বাড়িতে দরজায় দরজায় গিয়ে একটু সেচের পানির জন্য মিনতি করেন। তিনি বলেন, আমাদের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, আমরা অন্যদের মতো জমি পতিত রাখতে পারি না। মানুষকে বুঝানো খুবই কঠিন। কিন্তু আমাদের সামনে আর কোন পথ নেই।
কারমা গ্যালি পানি আনতে সক্ষম হলেও তার অনেক কাজ এখনো বাকি। তার পানি যেন কেউ চুরি করে নিয়ে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা তাকে করতে হবে। তার গ্রামে এ ধরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।
গ্যালি বলেন, অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের পানি নিজের জমিতে নিয়ে যায়। তাই আমাদেরকে পানির পরিমাণের উপর সবসময় তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়।
গ্রামের আরেক অধিবাসী তাশি ওয়াংদি বলেন যে, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি পানির উৎসটি পাহারা দিয়ে রেখেছেন। বাধানো নালা না থাকলে সহজেই অন্যরা পানি নিজের জমিতে নিয়ে যেতে পারে। তারা একা নয়। ভুটানে এখন ধান বপনের সময়। ধানের চারা বপন এক-দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেলেই তা ফলনের অনেক ক্ষতি হবে। তবে ভুটানের কৃষকরা এই প্রথম সেচের পানি সঙ্কটের সম্মুখিন হচ্ছেন না। প্রায় দেড় দশক ধরে এই অবস্থা চলছে। এই গ্রামের পানির একমাত্র উৎসটির অবস্থান প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে, তাও আবার শুকিয়ে যাচ্ছে। উৎস থেকে খাল কেটে জামিতে পানি আনার কাজটি ৯০’র দশকের শুরুর দিকে শুরু হয়। কিন্তু উৎসের কাছাকাছি আঞ্চলিক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। একই উৎস থেকে খাবার পানিও সংগ্রহ করা হয়।
সেচের পানি সঙ্কটের কারণে ভুটানের চাষীরা এখন ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। সুসিং, গোরথাং ও খারজা এলাকায় ২০ একরের বেশি জমিতে কোন চাষ হয়নি। এসব গ্রামের মানুষ ভুনথাই এলাকার একমাত্র পানির উৎসটির উপর নির্ভরশীল। গ্যালি জানান যে সেচের পানি সঙ্কটের কারণে লোয়ার পাংথাং এলাকায় এক হাজার একরের বেশি ধানক্ষেত জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সাব-কাউন্টির সমন্বয়কারী থাশি নামগে জানান তার কাছে গ্রামবাসীরা এসে অনেকবার এই সমস্যার কথা বলেছে। তিনি বলেন, ওইসব গ্রামের জন্য সেচের পানিসঙ্কট একটি বড় সমস্যা। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।