দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিয়াসাকোল সাকোলসাটাইয়াডনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোরদের একটি ভিডিও দেখানো হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, তারা হাসপাতালের বেডে বসে আছে। তারা সুস্থ ও ভালো আছে। উদ্ধারকারীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কিশোররা।
নট নামে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোর জানায়, আমার স্বাস্থ্য ভালো আছে। আমাকে রক্ষার জন্য ধন্যবাদ।
১১-১৬ বছর বয়সী এ কিশোররা কোচকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র এক ঘণ্টা থাকার ইচ্ছা নিয়ে গত ২৩ জুন গুহায় ঢুকেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলে পাহাড়ি ঢলে তারা সেখানে আটকা পড়ে।
নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিনের মাথায় গুহার মুখ থেকে চার কিলোমিটার ভেতরে দলটির সন্ধান পান দুই ব্রিটিশ ডুবুরি।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ কিশোর ও তাদের কোচ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠছে। তাদের আগামী ১৯ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার পর তাদের নিয়ে যে হুড়োহুড়ি শুরু হবে, তার জন্য কিশোর দল ও তাদের পরিবারকে আমরা প্রস্তুত করছি।
বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গুহার পানি বাড়তে থাকায় কিশোর দলটির সন্ধান পাওয়ার পরও তাদের বের করে আনা সম্ভব হচ্ছিল না।
কীভাবে বের করা হবে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই আবহাওয়া অধিদফতর থেকে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়ার পর ঝুঁকি নিয়েই কিশোরদের বের করে আনার কাজ শুরু হয়।
কিশোরদের উদ্ধার অভিযানে দেশি-বিদেশি প্রায় হাজারখানেক ডুবুরি অংশ নেন।
তাদের মধ্যে থাই নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এক ডুবুরি কিশোর দলের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু বরণ করেন।
গত রোববার থেকে কিশোরদের বের করে আনার চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়। ওই দিন চারজন, পর দিন চারজন এবং তৃতীয় দিন আরও চার কিশোর ও তাদের কোচকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।
চিয়াং রাইর একটি হাসপতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
পিয়াসাকল বলেন, ১৩ জনেরই স্বাস্থ্য ভালো আছে। তাদের কয়েকজনের নিউমোনিয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সুস্থ হয়ে উঠছে।