টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৭৫ লিটার চোলাই মদ ও নগদ ৫ হাজার ৩শ টাকাসহ আব্দুস ছামাদ নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আটক ছামাদের স্ত্রী জানিয়েছে অভিযানের সময় ছামাদের কাছ থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাত এগারোটার দিকে মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল কদ্দুছের নেতৃত্বে ছামাদকে তার ঘর থেকে আটক করা হয়। আটক আব্দুস ছামাদ পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত রইজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আব্দুস ছামাদ বাড়িতে চোলাই মদ তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিতি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল কদ্দুছের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার রাত এগারোটার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ছামাদের বসত ঘর থেকে প্লাস্টিকের ১০টি কন্টিনার ও সিলভারের দুই পাতিল বোঝাই ৭৫ লিটার চোলাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জামসহ তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর ছামাদকে ছেড়ে দেয়ার শর্তে পুলিশ তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বলে ছামাদের স্ত্রী খোরশেদা বেগম জানায়। পুলিশের শর্তে রাজী হয়ে ছামাদ তার বসত ঘরের সুকেজে রাখা টাকা বের করতে গেলে সুকেজে থাকা এক লাখ ৬০ হাজার টাকার পুরোটায় পুলিশ নিয়ে নেয় । পরে পুলিশ রাতেই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জামসহ ছামাদকে থানায় নিয়ে আসে বলে ছামাদের স্ত্রী খোরশেদা বেগম জানিয়েছেন। তবে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল কদ্দুছ জানান ৭৫ লিটার চোলাই মদ ৫ হাজার ৩শ টাকা ও মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্ত ওই অভিযানে অংশ নেয়া মির্জাপুর থানা এএসআই দেলুয়ার অভিযানে ৭৫ লিটার চোলাই মদের সঙ্গে নগদ কত টাকা উদ্ধার হয়েছে তা সাংবাদিকদের জানাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বলেন, নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়ার কথা তার জানা নেই।