Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাঙ্গলকোটে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হত্যা

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৮, ৭:২৯ পিএম

নাঙ্গলকোটে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামী এবং পরিবারের লোকজন কর্তৃক স্ত্রী আছমা আক্তার সাথীকে (২২) হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামে। পুলিশ আছমা আক্তার সাথীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আছমা আক্তার সাথীর দুই বছর এবং এক মাস বয়সী দু‘টি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের কাজী জোডপুকুরিয়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শাহ জালাল মজুমদারের একমাত্র কন্যা আছমা আক্তার সাথীর সাথে গত চার বছর পূর্বে নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামের বড় বাড়ির এয়াকুব আলীর পুত্র ফার্নিচার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের বিয়ে হয়। গত প্রায় এক বছর থেকে জহিরুল ইসলাম তার প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে সাথীর সাথে স্বামীর দ্বন্ধের জের ধরে স্বামী কর্তৃক তার উপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছিলেন বলে দাবি করেন সাথীর স্বজনরা। পরকীয়ার জের ধরে স্বামী এবং তার পরিবারের লোকজন কর্তৃক সাথীকে হত্যা করা হয়েছে বলে সাথীর পরিবার দাবি করেন।
সাথীর জেঠাতো ভাই ওমর ফারুক জানান, জহির তার প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এনিয়ে সাথী প্রতিবাদ করলে গত কিছুদিন থেকে জহির সাথীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। বিষয়টি সাথী তার মা জান্নাতুল ফেরদাউসকেও জানায়। সাথী স্বামীর পরকীয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় স্বামী জহিরসহ পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্ররোচনা চালায়।
ওমর ফারুক আরো জানায়, সাথী সৌদি আরবে বড় হয়েছেন। সেখানে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। সে দেশে এসে নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। সে পর্দানশীন এবং ধার্মিক ছিলেন। এছাড়া রান্নাঘরের যে ভুতুড়ের সাথে সাথীর আত্মহত্যা দেখানো হয়েছে, সেখানে সাথীর পা রান্নাঘরের মেঝেতে লেগে আছে। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। সে কোনভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সাথীর মা জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন- স্বামী এবং তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরের আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে হত্যা না আত্মহত্যা জানা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাঙ্গলকোটে

১৮ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ