মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমার, বাংলাদেশ, জাতিসংঘের দুটি এজেন্সির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে অচিরেই। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাখাইনের ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ ফর হিউম্যানিটারিয়ান এসিসট্যান্স, রিসেটেলমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউইএইচআরডি) রোববার এমনটা দাবি করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিয়ানমার টাইমস। ইউইএইচআরডির ভাইস চেয়ার ইউ উইন মিয়াত আই বলেছেন, প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। পুনর্বাসন বিষয়ে শিগগিরই জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত ও বিস্তারিতভাবে জানাবে মিয়ানমার সরকার।
তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে জাতিসংঘের এজেন্সি ও অন্য পক্ষগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করবো। এর মধ্যে থাকবে স্থানীয় বিভিন্ন গ্রুপ। শিগগিরই শুরু হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি পরিকল্পনা একবার চূড়ান্ত হয়ে গেলে প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। উল্লেখ্য, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ গত নভেম্বরে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৭ লাখ মুসলিমকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে এই চুক্তি হয়। আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করে। এরপরই সেনাবাহিনী ও তার দোসররা মিলে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালানো শুরু করে। এর ফলে বাধ্য হয়ে আগস্টের পরে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এ নিয়ে অনেক দেনদরবার হয় আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। কেড়ে নেয়া হয় অং সান সুচিকে দেয়া সম্মাননা পদক। গত মাসে জাতিসংঘের দুটি এজেন্সির সঙ্গে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করে মিয়ানমার।
তবে ইউ ইউন মিয়াত আই শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হবে বলে মন্তব্য করলেও তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাতে পারেন নি। বলতে পারেন নি কবে নাগাদ তা হতে পারে। তিনি বলেছেন, দ্রুততার সঙ্গে প্রত্যাবর্তন শুরু করার জন্য আমরা সব পক্ষের সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো যোগ করেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকও শিগগিরই হতে যাচ্ছে। এর পরই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে। এর আগে ৮০২৩ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদের নামের তালিকা দেয় বাংলাদেশ। তা যাচাই বাছাই করে মিয়ানমার জানায়, ওই তালিকায় যেসব মানুষের নাম রয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ রেকর্ড নেই তাতে। যার ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, তারা রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। সূত্র : মিয়ানমার টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।