পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, সরকার যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হয় তাহলে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, বিএনপির সাথে সমঝোতায় বসতে হবে। অন্যত্থায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব হবে না। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, যদি আমরা বাঁচতে চাই, যদি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই, যদি দেশে সভ্যতা ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই। হয় সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে সমঝোতায় আসতে হবে। আর তা না হলে যে ধরনের কর্মসূচি অতীতে দিয়ে এ রকম স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে সেই ধরনের উপযুক্ত কর্মসূচি দিতে হবে। আজকে এটা আমাদের সকলকে অনুধাবন করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এর চেয়ে দূর্ভাগ্যজনক একটা জাতির জন্য আর কি হতে পারে? তাহলে কি এটা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র ? জাতি কি তাহলে ব্যর্থ হয়ে গেল? আজকে যে সংকট তা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই মজবুত হবে। আমাদের এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদলীয় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এর চেয়ে কোনও বিকল্প আর নেই।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের একটি তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে মন্তব্য বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের মুশোখ খুলে গেছে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে। এটি একটি আজ্ঞাবহ, তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। এটি নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে আমাদের যেসব দাবি আছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে ইত্যাদির পাশাপাশি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই পুনর্গঠন করতে হবে। এ কমিশন দিয়ে কাজ হবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল জড়িত নেই এমন দাবি করে মওদুদ বলেন, এটা একটা স্বত:স্ফূর্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ১০০ টা সরকারি চাকরির নিয়োগের মধ্যে ৫৬টি যদি কোটায় চলে যায় তাহলে আর থাকে কি? বাকি যে ৪৪ শতাংশ নিয়োগ পায় তার মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী ১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন কোটা পদ্ধতি বাতিল। আমরা শুনে তার প্রশংসা করেছিলাম। কিন্তু ২৭ জুন তিনি আবার একই সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন কোটা পদ্ধতি থাকবে। আমরা কিভাবে তার কথা বিশ্বাস করবো? প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাই তিনি যে কথা বলেছেন তা যেন রক্ষা করেন। এমনিতেই আপনার ওপর থেকে জনগণের বিশ্বাস চলে গেছে।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তি না হওয়ার জন্য নিম্ন আদালতের বিচারকরা দায়ী অভিযোগ করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের উচ্চতম আদালত যেখানে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছেন সেখানে নানা কৌশলে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে সেই আদেশকে অকার্যকর করে দেওয়ার জন্য আজকে নিম্ন আদালতের একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ম্যাজিস্ট্রেট কে? এই ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী বিভাগের অধীনে কাজ করেন। গত ডিসেম্বরে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে ‘নিম্ন আদালতের সব কিছু নির্বাহী বিভাগের অধীনে কাছে চলে গেছে। এভাবে বিচার বিভাগকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বা সুবিচার যেটা বোঝায় সেটা সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছে এই ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রফেসর রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আ স ম মোস্তফা কামালের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, জাসাসের শাহরিন ইসলাম শায়লা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।