Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃহত্তর দিনাজপুরের আসন ৪৮০

দিনাজপুর অফিস : | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বৃহত্তর দিনাজপুরের ৩ জেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য ২টি আন্তঃনগর ট্রেন দিয়ে ন্যুনতম যাত্রী সেবা দিতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর উপর ঈদে যাত্রী সেবায় অতিরিক্ত একটি বগি সংযোগ করা হয়নি। ফলে টিকেট নিয়ে যাত্রীদের চাপ সামলাতে রেল কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে এবং এখনও হচেছ। এর উপর রয়েছে টিকেট কালো বাজারীদের দৌরাত্ব। টিকেটকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরে রেল কর্মকর্তাদের সাথে মনোমালিন্য হৈ-চৈ ঘটনা নিত্য নৈমিক্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। ঈদের ভোগান্তি না কাটতেই শুরু পবিত্র কাবামুখী হজ্ব যাত্রীদের বিড়ম্বনা। টিকেট না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আল্লাহর মেহমানরা। এছাড়া সামনে ঈদুল আযহা। তাই যাত্রী চাপকে বিবেচনায় রেখে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের জন্য আবেদন করেছে। এই মুহুর্তে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন হলে হজ্ব যাত্রীদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
দিনাজপুর ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দ ২টি ট্রেনের মাত্র ৪৮০টি সিট। যা বিপুল পরিমাণ সিটের চাহিদার বিপরীতে অনেক কম।
দিনাজপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের সুপার শেখ আব্দুল জব্বার জানান, দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা থেকে মাত্র ২০ টি কোচ নিয়ে একতা ও দ্রæতযান ২টি আন্তঃনগর ট্রেন যাতায়াত করে। এই দুটি ট্রেন বগুড়া, জয়পুরহাট নাটোরসহ আরো কয়েকটি জেলার যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে। একেকটি ট্রেনে আসন রয়েছে ৮৬০ টি করে। দিনাজপুর ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দ একতায় ২৪০ টি ও দ্রæতযানে ২৪০টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ১৭০ টি, এসি বাথ ১২ টি নন এসি বাথ ১২ টি ও ¯িœগ্ধা ৪৫ টি। কিন্তু বৃহত্তর দিনাজপুরের চাহিদা দ্বিগুনের চেয়েও অনেক বেশী। প্রতিদিন শত শত যাত্রী টিকিট নিতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন দিনাজপুর ষ্টেশনে এর দ্বিগুনের বেশী চাহিদা রয়েছে। ইতিপূর্বে ঈদ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাহিদা দিলেই অতিরিক্ত কোচ দেয়া হতো। কিন্তু এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরেও কোন অতিরিক্ত কোচ সংযোগ না করায় যাত্রীদের কাঙ্খিত সেবা দেয়া সম্ভব হয়নি। রেল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে টিকেট কালোবাজারীর অভিযোগ সর্ম্পকে তিনি বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, জিআরপি দিয়ে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ভ্রামমান আদালত দিয়ে কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং যাত্রীরা যখন ইচ্ছা তখন নিতে পারে। তবে এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার টিকেট সংশ্লিষ্টদের চাহিদা মোতাবেক তাদের বাহকদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া সকল টিকেট কাউন্টার থেকে এবং অন-লাইনে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
সাধারন যাত্রীদের বিষয়টিতে যতটা জনগনের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে তার চেয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে সম্মানিত হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে। কেননা হজ্ব যাত্রীদের ল্যাগেজ বেশী হয়ে থাকে। থাকে হজ্ব ক্যাম্পে রির্পোট করা, সময়মত ভিসা হাতে নেয়া এবং সময়মত প্লেন ধরা। এসব দিক বিবেচনায় সব মিলে স্বাচ্ছন্দ বাহন হচ্ছে রেল। এ অবস্থায় একতা ও দ্রæতযান ট্রেনে অতিরিক্ত দুটি করে এসি চেয়ার ও একটি করে বাথ কোচের সংযোগ দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে দিনাজপুর ষ্টেশন সুপার জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ