পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। বিজয়ী দলের হয়ে গোল করেন রাফায়েল ভারানে ও অঁতোয়ান গ্রিজম্যান।
পুরো ম্যাচে ভালো কোন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ফ্রান্স। লক্ষ্যেই তারা শট রাখতে পারে মাত্র দুবার। ১১ জুলাই সেন্ট পিটার্সবার্গের শেষ চারে নিজেদের নাম লেখাতে এই দুটি শটই যথেষ্ঠ ছিল দিদিয়ের দেশমের দলের জন্য। প্রথমার্ধের শেষভাগে করা ভারানের ¯øাইড হেড ফেরানোর উপায় ছিল না গোলরক্ষক ফার্নান্ডো মুসলেরার। গোলের অর্ধেক সুযোগ কাজে লাগায় ফ্রান্স। আর দ্বিতীয় গোলটি ছিল উরুগুয়ে গোলরক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া উপহার। শেষ চারে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ দিনের অপর ম্যাচে বেলজিয়াম ও ব্রাজিলের মধ্যে জয়ী দল।
প্রতিপক্ষে ডি বক্সে বার বার এডিনসন কাভানিকে খুঁজে ফিরেছেন লুইস সুয়ারেজ। পিএসজি তারকা তখন চোট নিয়ে সাইডলাইনে নিশ্চুপ বসে। গোলের সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি দলীয় অধিনায়ক দিয়াগো গদিন। শেষ আটেই তাই থামতে হলো দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ীদের।
নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে কোন দলই গোলের ভালো কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। শুরু থেকেই আক্রমণে যায় ফ্রান্স। গতির ঝড় তোলেন শেষ ষোলয় আর্জেন্টিনাকে বিদায়ের নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। তবে গোলের প্রথম সুযোগ পায় উরুগুয়ে। চতুর্দশ মিনিটে কর্নার থেকে হোসে হিমিনেসের হেডে ক্রিশ্চিয়ান স্তুয়ানি পা ছোঁয়ার আগেই বিপদমুক্ত করেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। পরক্ষণেই ডি বক্সে অরক্ষিত এমবাপের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধে উরুগুয়ের পোস্টে একটি মাত্র শট রাখতে পারে ফ্রান্স। সেটিই কাজে লাগায় লেস বøুরা। ৪০তম মিনিটে করেন্তিন তলিসোকে ডি বক্সের ডান প্রান্তে মারাত্বক ফাউল করে হলুদ কার্ডের কবলে পড়েন রড্রিগো বেনতানকুর। তা থেকে অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের নেয়া ফ্রি-কিক জটলার মধ্যে রাফায়েল ভারানেকে খুঁজে নেয়। সফল হেডে লেস বøুদের উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার।
তিন মিনিট পর একই সুযোগ আসে উরুগুয়ের সামনে। একই রকম ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন মার্টিন কাসিরেস। কিন্তু বাম কর্নার দিয়ে নেয়া তার ¯øাইড হেড ডানদিকে ঝাপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ফরাসি গোলকিপার হুগো লরিস। ফিরতি বল জালে পাঠানোর সুযোগ নষ্ট করেন দলীয় অধিনায়ক দিয়াগো গদিন। পোস্টের কাছ থেকে বল উড়িয়ে পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। বিশ্বকাপে হয়ত এটাই উরুগুয়ের হয়ে তার শেষ ম্যাচ। যে কারণে সুযোগ হাতছাড়ার এই বিষয়টি সারা জীবন হয়ত তাকে পোড়াবে।
দ্বিতীয়ার্ধেও লক্ষ্যে রাখা প্রথম শটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে দিদিয়ের দেশমের দল। তাতে অবশ্য উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্ডো মুসলেরার অবদানটাই বেশি। সুযোগ বুঝে ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া গ্রিজম্যানের জোরালো শট সোজাসুজি হাতে পেয়েও রুখতে পারেননি। হাত দিয়ে উপরের দিকে ঠেলে দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু বল মাথার উপর দিয়ে নিজেদের জালে আশ্রয় নেয়।
৬১ মিনিটে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জয় সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল ফরাসিদের। উরুগুয়ে শিবিরে এডিনসন কাভানির অভাব ছিল স্পষ্ট। পিএসজি স্ট্রাইকারের পরিবর্তে মাঠে নেমে নিজেকে চেনাতে পারেননি জিরোনা ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান স্তুয়ানি। ৫৯তম মিনিটে তার বদলি নামেন ক্রিশ্চিয়ান রদ্রিগুয়েজ। কিন্তু তার সাথেও রসায়নটা জমাতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। তৃতীয় বিশ্বকাপ স্বপ্নটা তাই শেষ আটেই থেমে যায়। এর আগে বিশ্বকাপের শেষ আটে তারা হেরেছিল একবারই, ১৯৬৬ সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে। পক্ষান্তরে শেষ ছয় আসরে চারবারই সেমিফাইনালে উঠল ফ্রান্স। শেষবার ২০০৬ সালে ফাইনালে খেলেছিল ১৯৯৮ সালের বিশ্বজয়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।