পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া দুই মেয়র প্রার্থী ও এক কাউন্সিলর প্রার্থী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপীল করার পরে তার শুনানীও শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অপর এক কাউন্সিলর প্রার্থী কোন আপীল করেন নি। গত ১ জুলাই বাছাইকালে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও বশির আহমদ ঝুনুর প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। পরের দিন ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ জামাল হোসেন নোমান-এর প্রার্থীতা বাতিল হলে তিনিও তার বিরুদ্ধে আপীল করেছেন।
বাতিলকৃত মনোনয়ন পত্রগুলোর মধ্যে ইকবাল হোসেন তাপস ও সৈয়দ জামাল-এর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ঋন খেলাপীর কারনে। অপর মেয়র প্রার্থী বশির আহমদ ঝুনুর মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে অসত্য তথ্য প্রদানের কারনে। গতকাল পর্যন্তই ৩জনের বক্তব্য এবং তাদের সমর্থনে কাগজপত্র পর্যালোচনা করেছেন বিভাগীয় কমিশনার। আজকালের মধ্যেই এব্যপারে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে সময় যত এগিয়ে আসছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতিও ততটা যোরদার হচ্ছে। প্রার্থীদের স্নায়ু চাপও বাড়ছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারনা শুরুর লক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহনও শুরু করেছেন। তবে দুই জেটেরই মেয়র প্রার্থীরা ভোটের বাইরে গনসংযোগও করছেন। মহাজোট প্রার্থী সাদিক আবদুলাহ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় গিয়েও দোয়া চাইছেন। এছাড়া প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীদের নিয়েও সভা করছেন তিনি। তবে আনুষ্ঠানিক এসব সভার বাইরে ভোটের কৌশল নির্ধারনেরও অনানুষ্ঠানিক সভা করছেন সাদিক। এমনকি ভোটারদের কাছে যতটা সম্ভব ভাল বার্তা পৌছে দেয়ার লক্ষও নির্ধারন করা হচ্ছে।
অপরদিকে ২০দলীয় জোট প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারোয়ারও বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলছেন। এছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন তিনি। ইতোমধ্যে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলেছেন সারোয়ার।
তবে সারোয়ার আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচন কতটা সচ্ছতার সাথে অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বরিশালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বাবা মন্ত্রীর পদ মর্জাদায় রয়েছেন। ফলে এখানে নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য স্মরন করিয়ে দিয়েছেন সারোয়ার। তিনি বলেন, যেখান প্রধানমন্ত্রী ‘বিজয়ী হতে গিয়ে দলের যেন বদনাম না হয়’, বলেছেন, সেখানে মাঠ পর্যায়ের কোন নেতা যদি নির্বাচনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করে, তবে তা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করবে। সারোয়ার বলেন, আসন্ন ৩টি সিটি নির্বাচনের মাধ্যমেই বোঝা যাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।