Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মারা যাবে না, এমন বিশ্বাসেই ফাঁসিতে ঝুলে দিল্লির ১১ জন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দিল্লির এক পরিবারের ১১ জনের সবাইকে রহস্যজনকভাবে মৃত পাওয়ার ঘটনায় পরিবারটির এক পুরুষ সদস্য প্রধান ভূমিকা রেখেছেন এবং সবাইকে ‘গণআত্মহত্যায়’ প্ররোচিত করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। দিল্লির বুরারি এলাকার ভাটিয়া পরিবারের প্রায় সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, একসঙ্গে এক পরিবারের ১১ জনের রহস্যময় মৃত্যুর এ ঘটনা ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে বলে খবর এনডিটিভির। পুলিশ জানিয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যা থেকে ধারণা হচ্ছে তারা মারা যেতে পারেন বলে বিশ্বাস করেননি ওই পরিবারের সদস্যরা, ভগবান তাদের রক্ষা করবেন এমন বিশ্বাসে অটল ছিলেন তারা। ময়নাতদন্তের বিস্তারিত ও ওই বাড়িটি থেকে পাওয়া হাতে লেখা একগুচ্ছ নোট একসঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করে পুলিশ জানিয়েছে, ৭৭ বছর বয়সী নারায়ণ দেবীর ছেলে ললিত ভাটিয়া এই মৃত্যুর পেছনে ‘মস্তিষ্ক’ হিসেবে কাজ করেছে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, নারায়ণ দেবীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জানিয়েছে তিনিও ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন। লাশগুলোর শরীরে ধস্তাধস্তির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ি থেকে পুলিশের উদ্ধার করা দুটি ঢাউস নোট খাতার বিভিন্ন নোট থেকে পাওয়া ধারণায় মনে করা হচ্ছে, পরিবারটির কিছু সদস্য অন্যদের ফাঁসিতে ঝুলে পড়তে সহায়তা করেছেন। পরিবারটির প্রায় সব সদস্যকে বাড়িটির হলওয়ের সিলিংয়ে লাগানো গ্রিলের জালিকা থেকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সবাই বেশ কাছাকাছি ছিলেন। নোট খাতার লেখা বর্ণনার সঙ্গে তাদের যে অবস্থায় পাওয়া গেছে তা খাপ খেয়ে যায়- মুখমÐল প্রায় সম্পূর্ণ মোড়ানো অবস্থায় ঢাকা, টেপ লাগিয়ে মুখ বন্ধ করা এবং হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। খাতাগুলোর নোটে লেখা ছিল, “প্রত্যেকে তাদের নিজেদের হাত বাঁধবে এবং ক্রিয়া যখন শেষ হবে হাত বাঁধন মুক্ত করতে প্রত্যেকে প্রত্যেককে সাহায্য করবে।” ঘটনার তারিখটি পরিকল্পিত ছিল, এমন নজির পেয়েছে পুলিশ। নোটগুলোতে নারায়ণ দেবীকে ‘বিবি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে; তার মৃতদেহের পাশে বিছানার ওপর একটি স্কার্ফ ও একটি বেল্ট পড়ে ছিল। পুলিশের সন্দেহ, তিনি মারা যাওয়ার পর কেউ একজন তার গলার ফাঁস খুলে তাকে ওভাবে রেখে দিয়েছে। এনডিটিভি।



 

Show all comments
  • Anusree Sarkar ৪ জুলাই, ২০১৮, ৩:৪৮ এএম says : 0
    eta attohotta noy. hotta.
    Total Reply(0) Reply
  • Aiub Hossain ৪ জুলাই, ২০১৮, ৩:৪৯ এএম says : 0
    ভারতে অনেক কিছুই হয়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফাঁসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ